বরগুনার আমতলী পৌরশহরের একটি বাসা থেকে ওষুধ কোম্পানীতে কর্মরত ভাড়াটিয়া পারভেজ নামে এক যুবকের গলায় ফাঁস লাগানো লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে খবর পেয়ে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রুমের দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানায় নিয়ে আসে। প্রেমঘটিত বিষয়ে সে আত্মহত্যা করেছে স্বজনরা দাবি করেন। পারভেজ পপুলার ফার্মাসিটিক্যাল নামের একটি ওষুধ কোম্পানিতে মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে আমতলীতে কর্মরত ছিলেন। সে পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিশাপা গ্রামের মো. ফারুক হাওলাদারের পুত্র। সে আমতলী পৌরশহরের হাসপাতাল সড়কের রুহুল আমিন কাজির বাসায় একটি রুমে ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ ও স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত পারভেজ স্বরুপকাঠি উপজেলার সানজিদা নামে একটি মেয়েকে ভালোবাসতেন। কিন্তু এ বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবে ঝামেলা হওয়ায় সে কিছুদিন ধরে মানসিক যন্ত্রনায় ভুগতেছিলো। হয়তো এ কারণেই সে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেঁচে নেয় ধারণা করছেন অনেকেই।
সংবাদ পেয়ে গতকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকাবাসীর সহায়তায় রুমের দরজা ভেঙে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় রশি পেঁচিয়ে ফাঁস লাগানো অবস্থায় পারভেজের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করার পরে দুপুরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করা হয়। বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।
পারভেজের পিতা মো. ফারুক হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, শুনেছি আমার পুত্র স্বরুপকাঠি উপজেলার সানজিদা নামের একটি মেয়েকে ভালোবাসতো। আগামী মাসে ওই মেয়েকে আমি আমার পুত্রবধূ করে বাড়িতে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে ওই মেয়েই আমার ছেলেকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান বলেন, শুনেছি প্রেমঘটিত বিষয়ে পারভেজ নামে এক যুবক গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা রের্কড করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন