শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা বাংলার খবর

ভূমধ্যসাগরে মারা যাওয়া ৭ জনের মধ্যে ৫ জনের বাড়ি মাদারীপুরে

স্টাফ রিপোর্টার, মাদারীপুর থেকে : | প্রকাশের সময় : ৩১ জানুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

ইতালী যাওয়ার সময় ঝড়োবাতাসে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তিউনিউসিয়ার ভূমধ্যসাগরে প্রাণ হারিয়েছে বাংলাদেশের সাত যুবক। সাত জনের মধ্যে পাঁচজনের বাড়ি মাদারীপুরে। একজনের বাড়ি সুনামগঞ্জ ও অন্য আরেকজনের বাড়ি কিশোরগঞ্জ। নিহত পাঁচজনের মধ্যে চার জনের নাম-ঠিকানা জানা গেছে। ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে সাতজনের নাম জানা গেছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে জানা গেছে, ইতালী যাওয়ার সময় ঝড়োবাতাসে প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তিউনিউসিয়ার ভূমধ্যসাগরে নিহতরা হলো মাদারীপুর সদর উপজেলার পেয়ারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পেয়ারপুর গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে ইমরান হোসেন, মস্তফাপুর ইউনিয়নের চতুরপাড় গ্রামের শাহাজালালের ছেলে জহিরুল, ঘটকচর এলাকার কাশেম মোল্লার ছেলে সাফায়েত, পেয়ারপুর ইউনিয়নের বড়াইলবাড়ি গ্রামের প্রেমানন্দ তালুকদারের ছেলে জয় তালুকদার রতন। নিহত আরেকজন বাপ্পী সদর উপজেলা ঠিকানা লেখা থাকায় এখন পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের কেউ এখন পর্যন্ত বাপ্পীর সন্ধান পায়নি। নিহত জহিরুলের পিতা শাহাজালাল বলেন, সন্তান মারা যাওয়ার খবর আমরা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারি। প্রায় ১০-১২ দিন ধরে আমার ছেলের সাথে ফোনে কথা হয় না। দালালরা আমাদের কাছে ফোন করে বলেছে জহিরুল হাসপাতালের আইসিইউতে আছে। যদি আমার সন্তান মারা যায় তাহলে তার লাশ যেন সরকার আমাদের কাছে এনে দেয়।
আরেক নিহত ইমরান হোসেনের বোন বলেন, গত ২১ জানুয়ারির আগে ভয়েস ম্যাসেজের মাধ্যমে ইমরানের কথা শুনি। তারপর থেকে আরো কোন যোগাযোগ নেই। আমার ভাই মারা যাওয়ার কথা সরকারি চিঠির মাধ্যমে জানতে পারি। আমার বাবা-মা এখন পর্যন্ত জানে না। নিহত সাফায়েতের বোনের জামাই রাসেল বলেন, সাফায়েত মারা যাওয়ার কথা আমি শুনেছি। সাফায়েতের সাথে যাওয়া বাড়ির পাশের দুইজন জীবিত আছে। তারা ফোন করে আমাদের বলেছে সাফায়েত মারা গেছে।
দূতাবাসের চিঠি সূত্রে জানা গেছে, গত ২৫ জানুয়ারি লিবিয়া হতে ইতালি আসার পথে অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় মৃত্যুবরণকারী অভিবাসন প্রত্যাশী ৭ বাংলাদেশির পরিচয় নিরুপনের জন্য ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর, শ্রমকল্যাণ মো. এরফানুল হকের নেতৃত্বে দুই সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃত্যুবরণকারীদের সাথে জীবিত উদ্ধার হওয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের সাথে কথা বলে সাতজনের নাম জানতে পারে। লাশ সরকারি খরচে দেশে আনার জন্য এবং নিহতদের পরিবারের সদস্যদের জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়। মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, যে সকল অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছে তাদের লাশ যাতে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা যায় আমরা তার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন