পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বেকু দিয়ে মাটি কেটে দখলে নেয়া হচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি। এসময় সময় কেটে ফেলা হয়েছে বনবিভাগের ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বেশ কিছু গাছ। শুধুমাত্র জমি বন্দোবস্তের আবেদনেই করা হচ্ছে এ জবর-দখল। আর এ দখলের অভিযোগ লালুয়া ইউনিয়নের মোস্তফা গাজীর বিরুদ্ধে। তবে নেপথ্যে রয়েছে লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য প্রযুক্তি সহকারী মশিউর রহমান ডাবলিন।
সরেজমিনে দেখা যায়, একই এলাকার এনামুল হকের স্ত্রী সেতার বেগম পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৭/৫ নং পোল্ডারে আওতাধীন লালুয়ার চান্দুপাড়া মৌজার ৪০৩০ বিএস দাগ থেকে মাছচাষের জন্য ১২ একর জমি বন্দোবস্তের আবেদন করেন। এ আবেদনের বলেই বেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ঘের তৈরি করে দখলে নেয়া হচ্ছে এর প্রায় দ্বিগুন জমি। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার বশার গাজীর পিতা মোস্তফা গাজী এ কাজ তদারকি করছেন। এসময় এনামুল হক বা সেতারা বেগমের উপস্থিতি বা অস্থিত্ব পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের রাজস্ব কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে কাজ বন্ধ করে দেয়।
অভিযুক্ত মোস্তফা গাজী বলেন, লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য প্রযুক্তি সহকারী মশিউর রহমান ডাবলিন এ জমির মালিক। তার অনুরোধে উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছি। বনবিভাগের অনুমতি নিয়েই গাছ কাটা হয়েছে।
লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য প্রযুক্তি সহকারী মশিউর রহমান ডাবলিন বলেন, মিষ্টি পানি সংরক্ষণের জন্য বেকু দিয়ে মাটি কেটে বাঁধ দেয়া হচ্ছিল। বন্দোবস্ত আবেদনের কাগজের বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যস্ততার অজুহাতে তিনি ফোন লাইন কেটে দেন।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট বিট কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছেন। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কলাপাড়া উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম বলেন, কেটে ফেলা জমি ভরাট করে দেয়ার জন্য সাত দিনের নোটিশ দেয়া হবে। এসময়ে কার্য সমধান না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন