বেনাপোল বন্দর গতকাল সোমবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রয়েছে দু’দেশের মধ্যে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। তবে বেনাপোল বন্দরে মালামাল লোড আনলোডসহ পণ্য ডেলিভারি স্বাভাবিক রয়েছে। ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে এলপি ম্যানেজার কর্তৃক নানাবিধ হযরানির প্রতিবাদে সেখানকার সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশন, ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নসহ বন্দর ব্যবহারকারী সংগঠনগুলো এ ধর্মঘটের ডাক দেন।
পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রফতানি কাজে নতুন এলপি ম্যানেজার নতুন নতুন আইন তৈরি করার কারণে নানা হয়রানির স্বীকার হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আমদানি-রফতানি কাজে নানা হয়রানি বন্ধসহ বন্দরের নতুন এলপি ম্যানেজারকে প্রত্যাহারের দাবিতে দফায় দফায় বৈঠক ও বিক্ষোভ সমাবেশ করছে আন্দোলকারীরা। বন্দর ব্যবহারকারীরা আরো বলেন তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে।
পেট্রাপোল বন্দরের স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চন্দ্র জানান, করোনাভাইরাসের কারণে তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে আগের চেয়ে অনেক কমে গেছে। আগে যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ৭০০ পণ্যবাহী ট্রাক বাংলাদেশে রফতানি হতো।
বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে তিনশো ট্রাকে। নতুন এলপি ম্যানেজার ব্যবসায়ীদের কোনো কথা না বলে বন্দর এলাকায় প্রবেশের উপর নতুন নতুন আইন তৈরি করে আমাদের বাণিজ্যে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। নতুন এলপি ম্যানেজার বিএসএফকে কাজে লাগিয়ে পরিবহন কর্মীদের বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ আন্দোলনকারীদের। ইউনিক কার্ড ছাড়া কোনো পরিবহন শ্রমিককে বন্দর অভ্যান্তরে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে না পারায় আমদানি-রফতানি কাজে জড়িতদের নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আমদানি-রফতানি কাজে বন্দর অভ্যন্তরে প্রবেশসহ নানা হয়রানি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তাদের অনির্দিষ্টকালের আন্দোলন চলবে। ধর্মঘট থাকায় সকাল থেকে বেনাপোল পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বন্ধ রয়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ডেপুটি ডাইরেক্টর আব্দুল জলিল জানান, ভারতের পেট্রপোল বন্দরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি- রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। ওপারে এলপি ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ব্যবসায়ী ও ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশন আন্দোলন করছেন। আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকলেও আমাদের বন্দরে মালামাল লোড আনলোড স্বাভাবিক রয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন