রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রাণীনগরে পাউবোর জায়গা দখলের হিড়িক

উচ্ছেদের নির্দেশ প্রশাসনের

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০২ এএম

নওগাঁর রাণীনগরে থামছে না পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জায়গা দখল। সেখানে হিড়িক পড়েছে স্থাপনা নির্মাণের । প্রভাবশালীরা ক্ষমতার দাপটে অনুমতি না নিয়েই নিজেদের ইচ্ছেমাফিক জায়গা দখল করে নির্মাণ করছেন ব্যক্তিগত, সমিতির অফিস আবার কেউ নির্মাণ করছেন স্থায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। সাতদিনের মধ্যে ওই স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দিয়েছে পাউবো ও উপজেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, রাণীনগর উপজেলাকে দুই ভাগে ভাগ করেছে ছোট যমুনা নদী। বর্তমানে এই নদীর দুই পাশ দিয়ে বিভিন্ন বাজার-হাট এলাকায় অনুমতি ছাড়াই নদীর তীরের জায়গা দখল করে গড়ে তুলছেন বহুতল ভবন। অবৈধ দখলদারদের অত্যাচারে ছোট যমুনা নদী বর্তমানে মৃত প্রায়। উপজেলার মিরাট ইউনিয়নের হরিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীত দিকে বিশ্ববাঁধ সংলগ্ন স্থানে ওই গ্রামের অছির উদ্দিনের ছেলে এজাদুল ইসলাম একই গ্রামের দিনমজুর বেলাল হোসেন অবৈধভাবে দখল করে গড়ে তুলছেন হরিশপুর (উত্তরপাড়া) সাত তারা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের কার্যালয় বহুতল ভবন। ইতিমধ্যই বাঁধের নিচে একতলা ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বর্তমানে উপরে আরো একতলা ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি চলছে। এতে করে ওই এলাকায় নদীর জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। অথচ পানি উন্নয়ন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই সব ভবন নির্মাণ বিষয়ে কিছুই জানেন না। একইভাবে উপজেলার কুজাইল বাজার, বেতগাড়ী বাজার, কৃষ্ণপুরের প্রেমতলীসহ উপজেলার জনমুখর স্থানগুলোতে ছোট যমুনা নদীর দুই তীরের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বহুতল ভবন ও ব্যবসালয় তৈরির মহোৎসব চলছে।

হরিশপুর (উত্তরপাড়া) সাত তারা সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি এজাদুল ইসলাম বলেন, আমাদের একটি সমিতি আছে। সেই সমিতির কার্যালয় নেই। তাই দখলদারের কাছ থেকে পজিশন নিয়ে সমিতির বহুতল কার্যালয় নির্মাণ করছি। ভবনের জায়গার মধ্য কিছু খাস জায়গাও রয়েছে। সরকার যদি কখনো এই জায়গা ফেরত নেয় তখন এই বহুতল ভবন ভেঙে জায়গা ছেড়ে দিবো। কর্তৃপক্ষের অনুুমতি নিয়েছেন কি না এই বিষয়ে এজাদুল ইসলাম বলেন, অনুমতি নেওয়া হয়নি। ওই জমির প্রকৃত দখলদার একই গ্রামের মনছের আলীর ছেলে দিনমজুর বেলাল হোসেন বলেন, ওই জায়গাটি পূর্বে আমাদের ছিলো, বর্তমানে সরকারের। আমি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত চাষাবাদ করে আসছি। আমি দিনমজুরের কাজ করি আর এই জমি থেকে যে ফসল পাই তা দিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে কোনমতে জীবিকা নির্বাহ করি। কিন্তু এজাদুল পায়তারা করে ওই ৩ শতাংশ জমিটি জবর দখল করে সমিতির নামে বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। এজাদুল প্রভাবশালী হওয়াই আমি বর্তমানে নিরুপায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, সরেজমিনে গত রোববার আমি ওই স্থাপনা পরিদর্শন করে ওই দখলদারকে সরকারি জায়গা থেকে সাত দিনের মধ্যে স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা দিয়েছি। যদি সাতদিনের মধ্যে স্থাপনা উচ্ছেদ না করে তাহলে আমি ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে গিয়ে ওই স্থাপনা উচ্ছেদ করবো। তা না হলে দখলদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন