চিলমারীতে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে আনসার-ভিডিপি সদস্য নিয়োগের নামে অর্থ হাতানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। আইন-শৃংখলা রক্ষা ও নিরাপত্তার কাজে আনসার সদস্যকে অঙ্গীভূত করতে সদস্য হতে হলে ৫০০ থেকে ৭০০টাকা দিয়ে নাম লেখাতে হয় বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কমান্ডার নামের বিনিময়ে টাকা উত্তোলন করে (প্রশিক্ষিকা) সাজেদা খাতুনকে দেয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে টাকা নেয়ার কথা অস্বিকার করেন এই কর্তকর্তা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। যদিও এবারে ৫টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৩১ জানুয়ারী। এখানে দীর্ঘ দিন আনসার ভিডিপির কর্মকর্তার পদটি শূন্য। অফিসের দায়িত্ব পালন করে আসছে মোছাঃ সাজেদা খাতুন নামের একজন প্রশিকিা। যদিও নুরুজ্জামান শাহিন নামে একজন প্রশিক্ষক আছেন। প্রতি ইউনিয়নে একজন করে পুরুষ ও মহিলা লিডার ছাড়াও কমান্ডার ও সহকারী কমান্ডার। অধিনে আছে কিছু পিসি ও সদস্য। নির্বাচন আসলেই এই কর্মকর্তাসহ কিছু ইউনিয়ন লিডার, কমান্ডার এবং পিসি সদস্যরা যেন আলাউদ্দীনের চেরাক হাতে পায়। আনসার ভিডিপির সদস্য নেওয়ার নামে শুরু হয় টাকা তোলার খেলা। তবে টাকা তোলার সময় ৫০০ থেকে ৭০০ বা তার অধিক টাকা নিলেও তাদের প্রশিণ দেওয়া হয় টাকার বিষয়ে কোন স্বীকারোক্তী না দেওয়ার। আরএসব টাকা নিয়োগের আগেই জমা দিয়েই তালিকায় স্থান পেতে হয়। এবং নামে মাত্র বাছাইপর্ব শেষ করা হয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অনেকে তথ্য দিলেও ডিউটি ও ভাতার টাকা না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন কিছু না করার শর্ত আরোপ করে। ইতি মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে শুরু হয়েছে আনসার ভিডিপি সদস্য নিয়োগ বাছাই। এ নির্বাচনেও মা পায়নি নির্বাচনে নিয়োগপ্রাপ্ত আনসার ভিডিপির সদস্যরা। এদের অধিকাংশের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা হারে। এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলার আনছার ভিডিপির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রশিকিা সাজেদা খাতুনের বিরুদ্ধে। এছাড়া উক্ত দুর্নীতির সঙ্গে প্রভাবশালী ইউনিয়ন দলনেতা ও কিছু আনসার-ভিডিপির সদস্য জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে ঘুষ দিলে নিয়োগ পাবে, আর না দিলে বা এই বিষয়ে মুখ খুললে সে বাতিল হবে এসব হুমকিতে চলে ঘুষ বানিজ্যে। প্রতিবাদ করলেও হুমকিসহ বাদ পড়ছে সে। উপজেলা আনসার ভিডিপি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জানুয়ারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৫টি ইউনিয়নের ৫১টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন পিসি, একজন এপিসি, ৮জন পুরুষ, ৭জন নারীসহ ১৭ জন আনসার-ভিডিপি সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। এব্যাপারে দলনেতাদের সাথে কথা হলে একাধিক দলনেতা টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করে বলেন, আমরা অসহায় টাকা উত্তোলন করে না দিলে ম্যাডাম আর স্যার দল নিতে চায়না। এসময় তারা তাদের নাম প্রকাশ করতে অনুরোধ করে বলেন, আপনারা তো বোঝেন পেটের দায়ে চাকুরী করি। তবে টাকা উত্তোলন ও নেয়ার কথা অস্বিকার করে উপজেলার (আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা ভারঃ) প্রশিক্ষিকা মোঃ সাজেদা খাতুন বলেন, বাছাই পর্ব শেষ করেছেন জেলা কর্মকর্তারা আমাদের এখানে হাত নেই। জেলা আনসার ভিডিপি কমান্ডার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন