ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলা ডৌহাখলা ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধ।ে নির্বাচন কর্মকর্তাকে মারধরের পর এবার এক সাংবাদিককে মারধর করে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে।
দৈনিক সন্ধ্যাবানী পত্রিকার প্রতিনিধি ও আইন সহায়তা কেন্দ্রের (আসক) ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি তিনি।
তার নাম মো. হায়দার আলম শাহীন।
গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক গৌরীপুর থানা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এর আগে গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর গৌরীপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা কেন্দ্র করে ওইদিন রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার সজল চন্দ্র সরকারকে মারধরের অভিযোগ উঠে এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৬ ডিসম্বের তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত গৌরীপুর উপজেলার ইউনিয়ন পরষিদ নির্বাচনে ডৌহাখলা ইউনিয়ন থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এম এ কাইয়ুম। চলতি বছরের ২৮ জানুয়ারি এম এ কাইয়ুমের বিরুদ্ধে অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক শাহীন। এর জের ধরে ৩০ জানুয়ারি ডৌহাখলা ইউনিয়নের কলতাপাড়া বাজারে চেয়ারম্যানের লোকজন শাহীনের কাছে চাঁদা দাবি করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তালা লাগিয়ে দেয়।
সাংবাদিক হায়দার আলম শাহীন বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয়রা আলোচনায় বসলে চেয়ারম্যান তার লোকজন নিয়ে এসে চাঁদা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধর করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এম এ কাইয়ুম বলেন, আমি দানশীল মানুষ। চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ সর্ম্পূণ মিথ্যা। আর মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। মূলত আমার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উদ্দেশ্যমূলক অভিযোগ করা হয়েছে।
গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগ পাওয়ার কথা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসান মারুফ বলেন,তদন রঙে্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন