সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফরিদপুরের নগরকান্দায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। ভাটা মালিকরা ফসলি জমি কেটে মাটি গিলে খাচ্ছে। গতকাল বুধবার সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এই চিত্র দেখা যায়। ইট তৈরির প্রধান কাঁচামাল মাটি। ফসলি জমির মাটি ইট তৈরিতেও সুবিধা।
এছাড়া হাতের নাগালে হওয়ায় কৃষকদের বিভিন্নভাবে বুঝিয়ে এ মাটি কিনে নিচ্ছে একটি চক্র। এরপর তারা বেশি দামে ইটভাটায় সরবরাহ করে থাকেন। এতে করে দিন দিন ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় যাওয়ায়, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে এবং ফসলি জমির মাটি বিক্রিতে একদল সুবিধাভোগী দালাল ফসলের ক্ষেতের মাটি ফসলসহ একটু বেশি দামে বিক্রিতে উদ্বুদ্ধ করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার মহিলারোড-বিলনালিয়া সড়কের তালমা ইউনিয়নের কোনাগ্রামের খালপাড়ের ব্রিজ সংলগ্ন বেশকিছু এলাকার ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে নিতে দেখা গেছে। এসব মাটি বেকু দিয়ে কেটে ব্যক্তি মালিকদে ভাটায় অথবা অন্য কোনো জায়গায় বিক্রি করছেন দালালরা। বেশিরভাগ মাটি অবৈধ লড়িতে করে নেয়া হচ্ছে ইটভাটায়। মাটি কাটাছেন এমন একটি ফসলি জমির মালিক তালমা ইউনিয়নের বিলনালিয়া গ্রামের মোসলেম মোল্যা। তিনি গণমাধ্যমে বলেন, মাটির ভালো দাম পাওয়ায় জমির মাটি বিক্রি করে দিয়েছি। জমির ফসলে তেমন লাভ না হওয়ায়, মাটি বিক্রি করে পুকুর খনন করছি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উত্তম কুমার ভৌমিক গণমাধ্যমকে জানান, কৃষি জমি কেটে মাটি বিক্রি করার ফলে, ফসলি জমি কমে যাচ্ছে। এ ধরনের কাজ চলতে থাকা, খুবই দুঃখজনক।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) এনএম আবদুল্লাহ আল মামুন গণমাধ্যমকে জানান, ফসলি জমির মাটি বিক্রি করে কৃষি জমির ক্ষতি করা হলে, এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উল্লেখ্য, এভাবে দালালদের মাধ্যমে জমির মালিকদের ভুল বুঝিয়ে এবং ফসলি জমি বিক্রি করলে উপজেলার বহু ফসলের মাঠ দীঘি পুকুর এবং বড় বড় জলাশয়ে পরিণত হবে বলে পরিবেশেবাদীরা মনে করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন