মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ০৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

পেশিশক্তি দিয়ে জনগণকে বেশিদিন পরাধীন রাখা যায় না : রিজভী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:৪৮ পিএম

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‌পেশিশক্তি ও জিহ্বার ধার দিয়ে জনগণকে বেশিদিন পরাধীন করে রাখা যাবে না। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এসময় যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকুসহ সংগঠনটির কেন্দৃীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার রান্ধনীবাড়ি এলাকায় গত বুধবার রাতে যুবদল নেতা আকবর আলীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে দলীয় বক্তব্য জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। রিজভী বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম ও মাসুদ সরাসরি জড়িত। তারা তাদের নিজস্ব অস্ত্র দিয়ে সরাসরি গুলি করে হত্যা করে যুবদল নেতা আকবর আলীকে। এই খুনিরা স্থানীয় আওয়ামী লীগের চিহ্নিত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও আওয়ামী লীগের ইউপি চেয়ারম্যানের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড এটি। ঠাণ্ডা মাথার খুন। নিজস্ব সন্ত্রাসীদের দ্বারা বিরোধীদল তথা বিএনপি নেতাকর্মীকে দুনিয়া থেকে বিদায় করা এ সরকারের উন্নয়নের রাজনীতির নমুনা। সেজন্যই আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এখন গ্রাম থেকে শহরে খুনের নেশায় ছুটে বেড়াচ্ছে।

তিনি বলেন, একইভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কেবল সিরাজগঞ্জ জেলাতেই বিএনপির বেশকিছু নেতাকর্মীকে ক্রসফায়ারে নির্বিচারে হত্যা করেছে। খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, বিএনপির সমাবেশে সশস্ত্র হামলা, গুলি করে একজন বিএনপি নেত্রীর চোখ অন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দলীয় কার্যালয়ে উপর্যুপরি হামলায় অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করে পঙ্গু করার ঘটনা ঘটেছে। ফলে সিরাজগঞ্জ এখন রক্তাক্ত জনপদে পরিণত হয়েছে। রিজভী আরও বলেন, এখন পর্যন্ত বিএনপির দেড় হাজার নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। সব মিলে প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী আওয়ামী শাসনামলে হত্যার শিকার হয়েছেন। তবে সময় অত্যাসন্ন। ভোট ডাকাতি, গুম-খুন-বিচারবহির্ভূত হত্যা, লাখ লাখ কোটি টাকা পাচার, বিচারবিভাগকে ধ্বংস করা, রাষ্ট্রীয় কাঠামো তছনছ করে দেওয়ার সঠিক বিচার একদিন এদেশের মাটিতে হবেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন