শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বাঘায় নাজমুল হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন ৬

রাজশাহী ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:২০ এএম

রাজশাহীর বাঘায় নাজমুল হোসেন (২৮) হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচার অনুপ কুমার এ রায় ঘোষণা করেন। আর বেকসুর খালাস পেয়েছেন ১৫ জন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবু জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলো ২৩ জন। পুলিশ তদন্তে করে আরও ৪ জনকে শনাক্ত করে। পরে ২৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে প্রধান আসামি মো. সুমনসহ ৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। তাদের বিচার চলছে শিশু আদালতে। অন্য ২৩ জনের বিচার শেষ হলো রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে।

সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলো - রাজশাহীর বাঘা উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের মিন্টু আলী, মো. রানা, মো. পানা, আরিফ হোসেন ও শরিফ হোসেন এবং নাটোরের লালপুর উপজেলার মনিহারপুর গ্রামের আরজেদ আলী ওরফে ভোলা। আদালত তাঁদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানাও করেছেন। জরিমানার অর্থ না দিলে আরও ১ বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে আসামিদের।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আরজেদ আলীর ছেলে সুমন এলাকার নবম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করত। ২০১৯ সালের শেষের দিকে সুমন সেনা সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেলে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। যে কোন মূল্যে সে ওই ছাত্রীকে বিয়ে করবে বলে ঘোষণা দেয়। সেনাবাহিনীর চাকরিতে প্রশিক্ষণে যাওয়ার আগে ২০২০ সালের ১৪ জানুয়ারি সে তার বন্ধুদের নিয়ে ওই ছাত্রীর পথ আটকে আবার প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ওই ছাত্রী বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি জানায়। তখন ছাত্রীর নানা আজিজুর রহমান সুমনের বাবা-মায়ের কাছে বিচার দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সুমন। সেদিন বিকালে পার্শ্ববর্তী বাঘা উপজেলার সুলতানপুর মোড়ে আজিজুলের ছেলে নাজমুল হোসেন ও আজিজুলের নাতি তারিকুল ইসলাম তুষারকে পেয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে সুমনসহ অন্য আসামিরা। পরে নাজমুলকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা আজিজুল। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এন্তাজুল হক বাবুু জানান, রায় ঘোষণার সময় ২৩ জন আসামিই আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাজাপ্রাপ্ত ৬ জনকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার এ রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে বাদীপক্ষ। নিহত নাজমুলের চাচা আবু তালেব বলেন, প্রকাশ্যে নাজমুলকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করেছেন আসামিরা। কিন্তু রায়ে অনেকেই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। তাঁরা এর বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে বলে জানিয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন