কুড়িগ্রামে কনকনে শীত আর উত্তরের ঠান্ডা বাতাসে কাহিল হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিদিন হাসপাতালে বাড়ছে নতুন নতুন রোগীর সংখ্যা। এদের মধ্যে শিশু এবং বৃদ্ধ রোগির সংখ্যা বেশি। দিনে সূর্যের আলো দেখা গেলেও বিকেল থেকে সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশা আর ঠান্ডা হাওয়ার কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ২ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিকে খড় - কুটা জ্বালিয়ে ঠান্ডা নিবারণের চেষ্টা করছে শীতার্ত মানুষ। সকালে হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সন্ধ্যার পর ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে গোটা এলাকা।
জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই রঘুরায় গ্রামের কৃষক মোস্তাফিজার রহমান, জমসেদ আলী ও বাচ্চু মিয়া জানান, ঠাণ্ডার ফলে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। পেলেও পুরোদিনের কাজ করা সম্ভব হয় না। কিছুক্ষণ পর পর তাদেরকে বিশ্রাম নিতে হয়। ফলে কাজ এগোয় না। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের খলিলগঞ্জ বাজারের ওষুধ ব্যবসায়ী প্রিন্স ও রোকন জানান, এই এলাকায় ঘরে ঘরে শিশুদের সর্দি-কাশি ও ডায়রিয়া দেখা দিয়েছে। প্রতিদিন রোগীর চাপে হিমসিম খাচ্ছে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা। দিনে গড়ে প্রায় ৪০ থেকে ৫০টি শীতজনিত রোগীর প্রেসকিপশন পাচ্ছি আমরা।
খলিলগঞ্জ কাশিয়াবাড়ী এলাকার গৃহিনী আলতাফুননেছা জানান, ঠাণ্ডায় শিশুর পাতলা পায়খানা হচ্ছে। আমাদের পাড়ায় শিশুদের জ্বর, সর্দি, কাঁশির প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করায় মহিলাদের হাত-পায়ে ঘা হচ্ছে। কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. পুলক কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে ও আউটডোরে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। শিশু ও ডায়রিয়া আইসোলেশন ওয়ার্ডে প্রতিদিন গড়ে ৩৫ থেকে ৪০জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।
জেলার রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ আনিছুর রহমান জানান, ধীরে ধীরে শীতের প্রকোপ কমছে। আগামি সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসতে পারে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন