বৃহস্পতিবার দিনের বেলা এক অভিভাবক হাসপাতারে ভর্তি তার ৯ মাসের শিশু জন্য ওষুধ সহ ক্যানোলা ক্রয় করে হাসপাতালে প্রবেশ করতে গেলে তার কাছ থেকে প্রবেশ পাশ চাওয়ার নামে এলোপাথারি মার-ধর করে একদল আনসার সদস্য। এর পর তাকে হাসপাতালের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিয়ে গেল তারা পুরো ঘটনা জানান পর উল্টো ওই অভিভাবকেই মামলা দিয়ে জেলে প্রেরণের ভয় দেখান। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রতিদিনই নানা অনিয়ম ও অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে হাসপাতালটির কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পরিবর্তে রোগীর স্বজনদের নানা ভাবে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ওই অভিভাবকের নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে তিনি এবিষয়ে সংশ্লিষ্ট আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ভুক্তিভোগি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গত ৩১ জানুয়ারি তার ৯ মাসের শিশু ঠান্ডা ও ডায়েরীয়া জনিত কারণে অসুস্থ্য হওয়ায় রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসা চলছিল ওই শিশুর। শিশুর ওষুধ ও ক্যানোলা জন্য বাইরে আসি। এর পরে আবার ভেতরে ঢুকতে গেলে আনসার সদস্য সুজন, নূর আলমসহ ৬ থেকে ৭জন বাধা দেয়। এসময় ওই আনসর সদস্যদের অনুরোধ করে বলে আমি গেট পাসটি ভূল বসত ভেতরে রেছে এসেছি। এসময় তারা অকথ্যভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হাতে থাকা লাঠি দিয়ে এলোপাথারি মারধর করে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত আনসার সদস্য সুবজ ও নুরআলমের সাথে যোগাযোগ করতে হাসপাতালে তাদের খোঁজ করা হলে তাদের দেখা মেলেনি। হাসপাতালটির উপপরিচালককেও তার দপ্তরে পাওয়া যায়নি। প্রসঙ্গত, রামেক হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের এর আগেও এভাবে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটিতে কর্মরত আনসার সদস্যদের বিরুদ্ধে।
এবিষয়ে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, বিষয়টি শুনেছি এবং এবিষয়ে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন