ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাজিদাতপুর গ্রামে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে ভেকুতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম। এ সময় মাটি বহনকারী তেলজুড়ী গ্রামের কাজী মহিদুল ইসলামের টলিসহ তিনটি টলি ভাঙচুুর করা হয়।
মাটি কাটার অপরাধে জমির মালিক নুরুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রেজাউল করিম। গতকাল শুক্রবার সকালে গণমাধ্যমকে জানায় উপজেলা প্রশাসন। জানা যায়, বাজিদাতপুর গ্রামের নুরুল আলম শেখের জমি থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কেটা হচ্ছিল। খবর পেয়ে ইউএনও অভিযান চালায়।
অপরদিকে, বৃহস্পতিবার বিকালে রুপাপাত ইউনিয়নের সোতালিয়া গ্রামে ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে আরেকটি ভেকু পুড়িয়ে দেন ইউএনও। এ সময় জমির মালিক বিলাশ শেখকে ৭ দিনের জেল দেন। ভেকু পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে ঘটনার দিন ফরিদপুর জেলা প্রশাসককের নিকটসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেন ক্ষতিগ্রস্থ কাজী মহিদুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, ভেকু দিয়ে মাটি কাটার অপরাধে দুইটি ভেকু পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও আরেকজনকে ৭ দিনের জেল দেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, নগরকান্দা উপজের গ্রামাঞ্চল,ফরিদপুর সদরের চর এলাকা ও সদরপুরের বিভিন্ন ইটভাটা মালিকরা দালালদের মাধ্যমে ফসলি জমির মাটি কেটে তাদের ভাটায় তুলছেন।
নগরকান্দার স্কুুল শিক্ষক মো. মুজিবর হেসেন ইনকিলাবকে জানান, নগরকান্দায় ৭ থেকে ৮ জনের, মাটি-বালু-ভরাট বিকিকিনির একটি প্রভাবশালী দালাল চক্র আছে। এরা কৃষকদের ফুসলিয়ে একটু বেশি দামের লোভ দেখিয়ে ফসলি জমির মাটি বিক্রিতে উৎসাহীত করছেন। এদের আইনের আওতা আনতে হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন