রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মাওলানা এম এ মান্নান (রহ.) ইন্তেকাল বার্ষিকী সংখ্যা

কীর্তিতে ভাস্বর তিনি

রূহুল আমীন খান | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৮ এএম

আজ মাওলানা এম এ মান্নানের ইন্তেকাল দিবস। বিষাদময় এই দিনটি এলেই সর্বত্র তাঁকে নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়, স্মৃতিচারণ হয়, হয় তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনা করে জান্নাতে উচ্চ মর্যাদাদানের আরজু জানিয়ে দোয়া-মুনাজাত। কেবল এদিন নয়, দোয়া হয় প্রতিদিন হাজার হাজার মসজিদে, মাদরাসায়, ইসলামী জলসায় ও ওয়াজ মাহফিলে। এ দোয়া-মুনাজাত চলতেই থাকবে। তিনি স্মৃতিতে অমর, কৃতিতে ভাস্বর হয়ে থাকবেন বহুকাল। দেশের সীমার বাইরেও মুসলিম জাহানসহ পৃথিবীর বহুদেশে, বহুস্থানে রয়েছে তাঁর অসংখ্য ভক্ত ও গুণগ্রাহী।

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলায় তাঁর জন্ম হয় ১৯৩৫ সালের মার্চ মাসে। তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট আধ্যাত্মিক ঘরানার অসাধারণ কৃতিপুরুষ। তাঁর পিতা শাহ সুফী ইয়াসীন (রহ.) ছিলেন ফুরফুরার পীর হযরত মাওলানা আবু বকর সিদ্দীকী (রহ.) এর খলিফা। তেমনি তাঁর নানা হযরত মাওলানা আবদুল মজীদ (রহ.)ও ছিলেন ফুরফুরা দরবার শরীফের বিশিষ্ট খলীফা ও প্রখ্যাত কামিল বুযুর্গ। বাল্যকালেই তিনি পিতৃহারা হন। শৈশবেই তিনি ছারছীনার পীর হযরত মাওলানা শাহ্ আবু জাফর মো. সালেহ (রহ.) এর পিতৃসুলভ স্নেহলাভে ধন্য হন। এ সম্পর্ক অত্যন্ত মজবুত ভাবে অক্ষুণ্ন ছিল তাঁর গোটা জীবন। তিনি নেক নজর লাভ করেছেন দেশ ও বিদেশের স্বনামধন্য বহু পীর-মুর্শিদের। তাঁর ভাগ্যটাই ছিল এমন যে, অতি সহজেই তিনি বিশ^বিখ্যাত পীর-ওলী-দরবেশ, ওলামায়েকেরাম, জ্ঞানী-গুণী, বিজ্ঞ-অভিজ্ঞ মনীষীবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারতেন। গুণীজনদের মন জয় করে নিতে পারতেন অনায়াসে। সুমধুর ব্যবহার, যাদুময় বক্তব্য, সৌজন্য-শিষ্টাচার, সময় ও সুযোগের যথাযথ ব্যবহারে তিনি ছিলেন অনন্য। ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও মতামতগত পার্থক্য তাঁর অনেকের সাথেই ছিল কিন্তু তা কখনো শত্রুতায় পরিণত হতে দেননি। প্রতি কথায়, প্রতি কাজে, প্রতিটি আচরণে প্রকাশ পেত তাঁর স্বভাবসুলভ মার্জিত রুচিবোধ, পরিমার্জিত ব্যবহার। তিনি ছিলেন যেমন অধ্যবসায়ী, কঠোর পরিশ্রমী, পরমতসহিষ্ণ,ু তেমনি ছিলেন দয়ার্দহৃদয়, অতিথিরপরায়ন, পরহিতকামী, দানবীর, ধৈর্যশীল ও মহৎ হৃদয়ের অধিকারী। কেউ কোনো বিপদে-মুসিবতে পড়ে তাঁর কাছে এলে তিনি তা থেকে তাকে মুক্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাতেন, সুপরামর্শ দিতেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে জোর সুপারিশ করতেন। যারা তাঁর প্রতি শত্রুতা পোষণ করত, মতবিরোধ প্রকাশ করত, তারাও কোনো সংকটে পড়ে তাঁর কাছে এলে তিনি তাদের আশ্রয় দিতেন, আপ্যায়ন করতেন সার্বিক সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। তিনি সর্বদা চরমপন্থা বর্জন করে চলতেন। ধর্মীয় মতামতগত মতপার্থক্যকে তিনি কখনো প্রাধান্য দিতেন না। উলামা-মাশায়েখের বৃহত্তর ঐক্যের প্রবক্তা ছিলেন তিনি। এজন্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে তিনি অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন। পরস্পর বিরোধীদের এক টেবিলে বসাতে চেষ্টা করেছেন।

তিনি প্রখর মেধার অধিকারী ছিলেন। শিক্ষার্থী হিসেবে তিনি সর্বদা যোগ্যতার সাক্ষর রেখেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন বহু দিন। মুহাদ্দিস হিসেবে সিহাহ সিত্তার (বুখারী, মুসলিম, নাসায়ী, তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনু মাজা) দরস দিয়েছেন। মন্ত্রী হিসেবে নির্দেশ দিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে তাজরিদুস সিহহা (সহীহ হাদীসসমূহ সনদসহ একই গ্রন্থে) সংকলিত করার ব্যবস্থা করিয়েছেন। ইলম চর্চা ছিল তার স্বভাবগত গুণ। সময় পেলেই তিনি তাফসীর, হাদীস ইত্যাদি উলুম-ফুনুনের কিতাব অধ্যয়ন করতেন। মহাখালীতে মসজিদে গাউসুল আযম আবদুল
কাদির জিলানীতে প্রতি শুক্রবার জুমআর সালাতের পূর্বে হাদীসের কিতাব সামনে নিয়ে দীর্ঘ সময় মুসুল্লীদের ব্যাখ্যা শুনাতেন। তাঁর সে অমূল্য বয়ানের দুটি সংকলন গ্রন্থ ‘সিরাতুল মুস্তাকিমের সন্ধানে’ নামে প্রকাশিত হয়েছে, যার পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় সাড়ে আটশত।

তিনি চাইতেন ব্যাপক ইলমী চর্চা হোক। এ জন্য তিনি চেষ্টাও করে গেছেন আজীবন। তিনি চাইতেন খাঁটি নায়েবে নবী পয়দা হোক, আলেমেদ্বীন পয়দা হোক, ব্যাপক ইলমী গবেষণা হোক। শিক্ষক সমাজের অবস্থার উন্নতি হোক, তারা আর্থ সামাজিক মর্যাদায় সুপ্রতিষ্ঠিত হোক। মাদরাসার শিক্ষকগণসহ সর্বস্তরের শিক্ষকমণ্ডলী সর্বোচ্চ সুযোগ ও মর্যাদা লাভ করুক। তিনি বলতেন, মাদরাসা শিক্ষা রয়েছে ঝুলন্ত অবস্থায়। অর্থাৎ এর প্রাথমিক বা ইবতেদায়ী ক্লাস যেমন নেই, তেমন এর সর্বোচ্চ শিক্ষার জন্য স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ও নেই। তাই স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা যেমন প্রতিষ্ঠা করতে হবে, তেমনি স্বতন্ত্র ইসলামী আরবী বিশ^বিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ ছিল তাঁর অন্যতম লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে উপনীত হওয়ার জন্য তিনি বক্তৃতা দিয়েছেন, বিবৃতি দিয়েছেন, শিক্ষক-ছাত্রদের উদ্বুদ্ধ করেছেন। সম্মেলন, মহাসম্মেলন করেছেন, বিরামহীন আন্দোলন করেছেন। তিনি স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সমিতিসমূহ নিয়ে বৃহত্তর শিক্ষক ঐক্য গড়ে তুলেছেন। টোলের পন্ডিত, মাদরাসার মোদার্রেস, বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একাধিক সমাবেশ করেছেন। অবশেষে মনজিলে মকসুদে পৌঁছেছেন। যে ইবতেদায়ী স্তরটি শুধু মাদরাসা বোর্ডের কারিকুলামের বইয়ের পৃষ্ঠায় সীমাবদ্ধ ছিল তা বাস্তবায়িত হয়ে ২১ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা কায়েম হয়েছে। যদিও তার সংখ্যা এখন অনেক কম। তাঁর পরম সৌভাগ্য, জীবদ্দশায়ই তিনি অনেক আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলে আনতে সক্ষম হয়েছেন। তিনি বলতেন, মাদরাসার শিক্ষকরাও স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের সমান সুযোগ-সুবিধাপ্রাপ্ত হতে হবে। সরকারি শিক্ষক ও বেসরকারি শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধার বৈষম্য দূর করতে হবে। উভয় গ্রুপের শিক্ষকদের মধ্যকার আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করতে হবে। বেসরকারি শিক্ষদের জন্যও সরকারি শিক্ষকদের অনুরূপ বেতন স্কেল চালু করতে হবে, বাড়ি ভাড়া ভাতাদিসহ অন্যান্যভাতা তাদের জন্য বরাদ্দ করতে হবে। যদিও এসবে এখনো সর্বক্ষেত্রে সমতা প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তবে যে লক্ষ্যসমূহ সামনে রেখে তিনি আন্দোলন চালিয়ে গেছেন আংশিকভাবে হলেও এর অনেকটা চালু হতে তিনি স্বচক্ষে দেখে গেছেন। তাঁর বিশেষ দুটি লক্ষ্যের মধ্যে একটি ছিল ‘ইনকিলাব’ নামে একটি দৈনিক পত্রিকা প্রতিষ্ঠা করা, অন্যটি ছিল মসজিদে গাউসুল আযম আ. কাদির জিলানী ও জমিয়াতুল মোদার্রেছিন কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠা করা। দু’টিই ছিল অত্যন্ত কঠিনকাজ। মাওলানা মান্নান হুজুরের কর্মপদ্ধতি ছিল অত্যন্ত সুপরিকল্পিত। প্রথমে নিজে তিনি একটি লক্ষ্য নির্ধারণ করতেন। এর ভালো-মন্দ সব দিক নিয়ে ভাবতেন, তারপর সে জন্য পরিকল্পনা করতেন, বিজ্ঞ, অভিজ্ঞ, দক্ষ লোকদের সাথে পরামর্শ করতেন। অতঃপর তা বাস্তবায়নে মনোনিবেশ করতেন। প্রয়োজনীয় অর্থের যোগান, উপযুক্ত স্থানের ব্যবস্থা, যথোপযুক্ত লোক নিয়োগ ইত্যাদি সম্পন্ন করে ঝাঁপিয়ে পড়তেন কর্মে। তখন শুধু কাজ আর কাজ। বিরামহীন, বিশ্রামহীন কাজ। হয় মন্ত্রের সাধন, নয় শরীর পতন। তিনি কাজ ভালবাসতেন, বিরামহীনভাবে কাজ করতেন, অন্যকেও কাজে অনুপ্রাণিত করতেন। অলসতা, কর্মবিমুখতা তিনি মোটেও পছন্দ করতেন না। এমন লোকদের দেখতে পারতেন না। তিনি কঠিন ডায়াবেটিক রোগে আক্রান্ত ছিলেন, শেষের দিকে সপ্তাহে জ্জ দিন ডায়ালাইসিস করাতে হতো। এ অবস্থাতেও তিনি কর্তব্য সাধনে তৎপর ছিলেন। এ সময়ে একবার বরিশাল শহরে জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের আঞ্চলিক সম্মেলন হলো। তাঁর ডায়ালাইসিস চলছিল, অপরদিকে স্টিমারও ছেড়ে যাবে যথাসময়ে। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে তিনি ডাক্তারদের বললেন যন্ত্রপাতি খুলে নিতে। তারা ঘোরতর আপত্তি করলেন। তিনি উঠে বসলেন, নিজেই সে সব খোলার উদ্যোগ নিলেন। অগত্যা ডাক্তারগণ তাঁকে মুক্ত করে দিলেন যন্ত্রের জঞ্জাল থেকে। তিনি গাড়িতে উঠলেন। সদরঘাটে পৌঁছলেন। স্টিমারে আরোহণ করলেন। যথাসময়ে বরিশাল গেলেন। সম্মেলনে বক্তব্য রাখলেন। আবার যথাসময় স্টিমারে চেপে ঢাকা ফিরে হাসপাতালের বেডে শুলেন। তাঁর মন্ত্রিত্বের কালের এক ঘটনা। বিদেশের এক আন্তর্জাতিক বৈঠকে যোগদানের পোগ্রাম তাঁর। ঘটনাক্রমে পূর্ব রাতে আক্রান্ত হলেন ডায়রিয়ায়। ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন তিনি। ফ্লাইট সকাল ১০টায়। ঐ অবস্থায় ফজর নামাজের পর সফরের আবশ্যকীয় কাগজ-পত্রাদি ও জরুরি সামান প্রস্তুত করতে বললেন।

তাঁর জ্যেষ্ঠপুত্র ইনকিলাব সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভাইসহ পরিবারের সদস্যবর্গ এবং আমরা যারা উপস্থিত ছিলাম, অনুরোধ জানালাম পোগ্রাম ক্যান্সেল করতে। দৃঢ় কণ্ঠে তিনি বললেন, না, তা হয় না। তোমরা আমাকে প্লেনে উঠিয়ে দিয়ে এসো। আমার লাশ (মরদেহ) গেলেও সম্মেলনে যাবে। এই ‘না’কে ‘হা’ করানোর সাধ্য হলো না কারো পক্ষেই। অগত্যা ঐ অবস্থায় যথাসময়ে প্লেনে উঠিয়ে দিয়ে এলাম আমরা। এমনি অনেক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আমি নিজেই। তাঁর অসুস্থতাকালীন সময়ে বাগদাদ শরীফ যিয়ারতের নিয়ত করলেন তিনি। ইরাক অবরুদ্ধ। যেতে হয় দুবাই হয়ে দামেস্ক। সেখান থেকে আম্মান। আম্মান থেকে সিরিয়ান মরুভূমি পার হয়ে ৬/৭ শ’ মাইল স্থলপথ পাড়ি দিয়ে বাগদাদ। এ সকল ধকল সামলিয়ে তিনি বাগদাদে পৌঁছলেন। এটাই ছিল তাঁর বাগদাদের শেষ সফর। দেশে ফেরার আগেই তিনি মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লেন, এমনকি হুঁশ হারিয়ে ফেললেন। যেন এক জীবন্ত লাশ। পোগ্রাম বাতিলের মওকা নেই। বাগদাদ কর্তৃপক্ষ লাশের মতই তাকে গাড়িতে তুললেন এবং প্লেনে উঠিয়ে দিয়ে গেলেন। হুজুর ঢাকা প্রত্যাবর্তন করে ক্রমে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠলেন।

মাওলানা এম এ মান্নানের অবিস্মরনীয় কীর্তি হলো দৈনিক ইনকিলাব প্রতিষ্ঠা। এর মূল পরিকল্পনা হয়েছে গাউসুল আযমের শহর বাগদাদ শরীফ বসে। এর জন্য দোয়া করা হয়েছিল পবিত্র মক্কা মুয়াজ্জামায় ও মদীনা মুনাওয়ারায়। প্রাথমিকভাবে এর প্রকাশনায় বিশেষভাবে সহায়তা করেছিলেন মাদরাসার শিক্ষক ও উলামা-মাশায়েখ। অবশেষে বহুকাক্সিক্ষত, দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ইনকিলাব প্রকাশিত হলো। এর পেছনে একটি লক্ষ্য আছে, উদ্দেশ্য আছে, সম্পাদকীয় নীতিমালা আছে। অগণিত ভক্ত পাঠক আছে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির দর্পণ হিসেবে কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকার আছে। বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার দৃঢ় সংকল্প আছে। এ সবের প্রতি খেয়াল রেখে, সজাগ থেকে জাতীয় কল্যাণ সাধনের প্রত্যয় আছে। মাওলানা এম এ মান্নানের এ স্বপ্নের রূপকার রূপে তাঁরই পুত্র এ এম এম বাহাউদ্দীনের সুযোগ্য সম্পাদনায় আল্লাহর মেহেরবানীতে দীর্ঘ ৩৬ বছর ধরে ইনকিলাব সামনে এগিয়ে চলছে। আমি স্বচক্ষে এশিয়া, আফ্রিকা, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে এর প্রতি অগণিত পাঠকের আস্থা, ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করে মুগ্ধ হয়েছি। ইনশাআল্লাহ নীতি আদর্শে অবিচল থেকে ইনকিলাব দুর্বার গতিতে চলতে থাকবে।

আজ মাওলানা হুজুরের ইন্তেকাল দিবসে এমনি বহু কথাই মনে পড়ছে, বহু স্মৃতিই ভেসে উঠেছে মনের পর্দায়। আসুন, এই শোকাবহ দিনে রাহমানুর রাহীম আল্লাহর দরবারে দোয়া ও মুনাজাত করি, মহান আল্লাহ তাঁর সকল নেক খিদমত কবুল করুন, গুনা-খাতা মাফ করুন এবং তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসে উচ্চ মকাম দান করুন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (5)
Faysal Mahmud ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৪ এএম says : 0
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী চিন্তাবিদ, জাতি ও জনগণের চেতনা ও বিবেকের কণ্ঠস্বর, প্রখ্যাত রাজনীতিক এবং সমাজসেবক দৈনিক ইনকিলাবের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর আজ ইন্তেকাল বার্ষিকী। আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতায় আমরা তাকে স্মরণ করছি।
Total Reply(0)
MD Year Ali Sikder ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৪ এএম says : 0
আমাদের সামাজিক-রাজনৈতিক উন্নয়ন ও ক্রমবিকাশে মাওলানা এম এ মান্নান (রহ:)-এর ব্যাপক ও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
Total Reply(0)
Najmol Hasan Rajib ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৪ এএম says : 0
তার প্রতিটি উদ্যোগ, প্রতিটি কর্ম ও সেবা একেকটি মাইলফলক হয়ে আছে। সারা জীবন তিনি জাতি, দেশ, শিক্ষা ও ধর্মের সেবা করে গেছেন। যৌবন থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি বাঁকে ও পর্যায়ে নানা মহৎ কর্মে, নানা পরিচয়ে তিনি নিজেকে সমুজ্জ্বল ও ভাস্বর করে গেছেন।
Total Reply(0)
Belal Hossain ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৪ এএম says : 0
জাতির এই ক্রান্তি কালে তার মত মানুষের খুব প্রয়োজন ছিলো
Total Reply(0)
Md Parves Hossain ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১:১৫ এএম says : 0
হুজুরকে নিয়ে এই সুন্দর লেখাটির জন্য মোবারকবাদ জানাচ্ছি।
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন