শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরস্বতী পুজা উদযাপিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:৩০ পিএম

বৈশ্বিক করোনা মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব সরস্বতী পুজা আজ শনিবার সারাদেশে সীমিত পরিসরে উদযাপিত হয়েছে। আগামীকাল গভীর রাত পর্যন্ত তা’চলবে। পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেছেন অগণিত ভক্ত। এ উপলক্ষ্যে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতি শুভেচ্ছা জানিয়ে বাণী দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
সরস্বতী পুজা বসন্ত পঞ্চমী নামেও পরিচিত। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী বসন্ত কালের শুক্ল পক্ষের পঞ্চমী তিথিতে এই পুজা হয়। এদিন বেশিরভাগ মানুষকে হলুদ রঙের পোশাকে সেজে উঠতে দেখা যায়। এদিন নানা জায়গায় বাচ্চাদের হাতেখড়িরও আয়োজন করা হয়। পাড়ায় পাড়ায় দেবীর আরাধনায় মেতে ওঠে সকলে। তবে সীমিত পরিসরে সরস্বতী পুজা উদযাপিত হওয়ায় এবার প্রতিমা ও পুজার উপকরণ কেনাকাটা তেমন জমেনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় সেখানে কোনো পুজার আয়োজন নেই। বিভিন্ন পাড়া মহল্লা, বাড়িতে আয়োজন থাকলেও করোনার কারণে এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরস্বতী পুজা হচ্ছে না। তবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার সরস্বতী দেবীর কাছে তাদের প্রার্থনা করোনামুক্ত প্রাণচাঞ্চল্য মুখর শিক্ষাঙ্গনের। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টা ৪৭ মিনিটে শুরু হয় পুজোর শুভক্ষণ। আর তা শেষ হবে রোববার দিবাগত রাত ৩ টা ৪৬ মিনিটে।
সরস্বতী পুজা উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। হাজার বছর ধরে এ ভূখ-ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে আসছেন। সবার প্রতি অনুরোধ, করোনার এ সঙ্কটময় সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুজা উদযাপন করুন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বাংলাদেশে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম স্বাধীনভাবে পালন করে আসছেন। সারাদেশের বিভিন্ন জেলায় ক্লাব, মন্দির ও বাড়িতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পুজা। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, শের ই বাংলা মেডিকেল কলেজ ও সরকারি বিএম কলেজ স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুজার আয়োজন করেছে বলে জানা গেছে। পুজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতি বছরই আমরা সরস্বতী পুজা বড় করে উদযাপন করি। কিন্তু এবার স্বাস্থ্যবিধি মেনে উদযাপন করতে হচ্ছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে খারাপ দিন যাচ্ছে প্রতিমা বিক্রেতাদের। আগের তুলনায় অর্ধেক প্রতিমা তৈরি করতে হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন