রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বান্দরবানে বিক্ষোভ মিছিল

সেনাবাহিনীর অফিসার হত্যা

স্টাফ রির্পোটার, বান্দরবান থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৫ এএম

গত ২ ফেব্রুয়ারী রাতে বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দলের উপর সন্তু লারমা সমর্থিত জেএসএস মূল দলের সশস্ত্র সন্ত্রাসী কতৃক চোরাগোপ্তা হামলায় সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমান কে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বিকেলে বান্দরবান প্রেস কর্ণার চত্বরে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ বান্দরবান জেলা শাখার উদ্যেগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন, নাগরিক পরিষদের সহ সভাপতি ক্যাপটেন অব. তারু মিয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মুজিবুর রহমান, বান্দরবান জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন সহ নেতৃবৃন্দ।

সভায় বক্তারা বলেন, সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হাবিবুর রহমানের খুনি সন্তু লারমা ও তার দোসর দের অবিলম্বে ফাঁসি দাবি করেন। বক্তারা আরো বলেন, সন্তু লারমারা বিনা কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে অসংখ্য সেনা সদস্য ও পাহাড়ি বাংঙ্গালী কে হত্যা করেছে। এরা মূলত জঙ্গি ও সশস্ত্র সংগঠন। গত ২ বছরে বান্দরবানে জেএস এ সের সন্ত্রাসীরা অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের হত্যা করেছে। বান্দরবান জেলার বেশ কয়েক জন নেতাদের কে হত্যার জন্য টার্গেট করেছে এই সন্ত্রাসী সংগঠন। তাদের চাঁদাবাজিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী ও সাধারণত জনগণ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। চাঁদা না দিলে তাদের কে খুন গুম ও অপহরণ করা হচ্ছে। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনা ক্যাম্প প্রত্যাহার নয়, বাড়ানোর দাবি জানান বক্তারা।

বক্তারা আরো বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির অনুচ্ছেদ ঘ এর ধারা অনুযায়ী সকল অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দেওয়ার মাধ্যমে তৎকালীন শান্তিবাহিনী সকল সদস্যের আত্মসমর্পণের শর্ত থাকলেও সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএস তা ভঙ্গ করে চুক্তি সম্পাদনের পরবর্তী সময় থেকে সশস্ত্র সন্ত্রাসী লালন করে আসছে। যদিও প্রায়শ সন্তু লারমা ও তার দল সরকারের বিরুদ্ধে শান্তি চুক্তির শর্ত ভঙ্গ ও বাস্তবায়ন না করার অভিযোগ করে থাকে। বর্তমানে পার্বত্য চট্টগ্রামে তৎপর চারটি আঞ্চলিক দল হত্যা, গুম, চাঁদাবাজি ইত্যাদি দুষ্কৃতিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে পাহাড়ের নিরীহ সাধারণ মানুষের জনজীবনকে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। পাশাপাশি সশস্ত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বিচ্ছিন্ন করে স্বাধীন জুম্মল্যান্ড সৃষ্টির পায়তারা করছে, যা নিঃসন্দেহে দেশদ্রোহিতার শামিল। এ পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী বুকের রক্ত দিয়ে হলেও দেশের স্বাধীনতা ও ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষায় সন্ত্রাসীদের এক চুল পরিমাণ ছাড় না দিতে বক্তারা সরকারের সহায়তা কামনা করেন। প্রয়োজনে সন্তু লারমা গংগদের প্রতিহত করতে দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনীর সাথে বাংঙ্গালীরা জিহাদে অংশ নিতে প্রস্তুত বলে জানান বক্তারা। প্রতিবাদ সভা শেষে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বান্দরবান শহর প্রদিক্ষণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন