পরিবেশ অধিদফতরকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পটিয়ায় প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে পাহাড় ও ঢিলা। উপজেলার কেলিশহর ইউনিয়নের খিল্লাপাড়া এলাকায় পাহাড় কেটে নির্মাণ করা হচ্ছে ডেইরী ও পোল্ট্রি ফার্ম। স্থানীয়দের অভিযোগ, দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়নের মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ নামের এক ব্যক্তি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে রোহিঙ্গা শ্রমিকদের দিয়ে কাটছে পাহাড়। ইতোমধ্যে পাহাড়ের বেশকিছু অংশ কেটে সমতল ভূমিতে পরিণত করা হয়েছে। বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ (সংশোধন) আইনে স্পষ্টভাবে পাহাড় বা টিলা কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। জাতীয় স্বার্থে পাহাড় কাটার প্রয়োজন দেখা দিলেও পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতির বাধ্যবাধকতা আছে। এসবের তোয়াক্কা না করে পটিয়ায় পাহাড় কেটে গড়ে তোলা হচ্ছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দক্ষিণ ভুর্ষি ইউনিয়নের মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ কেলিশহর খিল্লাপাড়া এলাকায় পরিবেশ অধিদফতর থেকে কোনো ধরনের অনুমতি না নিয়ে পাহাড়ে কেটে গরু, মুরগীর খামার ও মৎস্য প্রকল্প শুরু করেছেন। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে বিভিন্ন এলাকা থেকে রোহিঙ্গা শ্রমিক এনে দৈনিক বেতনে এ কাজ করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। ওই খামার এলাকায় একসময় মো. শামীম নামের এক ব্যক্তি ‘পটিয়া মডেল টাউন’ নাম দিয়ে প্লট বরাদ্দ দেওয়ার নামে অসংখ্য লোকজন থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। পরবর্তীতে শামীম নামের ব্যক্তিটি উধাও হয়ে গেলে প্রবাসী মো. হারুনুর রশিদ মেসার্স তাহছিন এগ্রো ফার্ম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে খামার প্রতিষ্ঠা করেন।
খিল্লাপাড়া এলাকার স্থানীয়রা জানিয়েছেন, গত এক মাস ধরে তাদের এলাকার খামারের ভিতরের পাহাড় ও ঢিলা কেটে সমতল ভূমিতে রূপান্তর করছে। চারিদিকে বাউন্ডারী থাকার কারণে বাহিরের লোকজন তা বুঝতে পারে না। যার কারণে নিবিঘ্নে চলছে পাহাড় ও ঢিলা কাটা। তবে প্রবাসী মো. হারুনের ভাগিনা মো. ইছা জানিয়েছেন, পাহাড় কেটে সমতল করে পোল্ট্রি ফার্ম স্থাপন করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক মফিদুল আলম বলেন, পাহাড় ও ঢিলা কাটা সম্পূর্ণ বেআইনী। পটিয়াতে পাহাড় কেটে ফার্ম তৈরির বিষয়টি আমি জানি না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন