শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানগর

সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৬:০১ পিএম

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, সুনীল অর্থনীতির অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে পর্যটন শিল্পের বিকাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করছে তাতে দেশের উপকূলীয় এলাকা ও সমুদ্র পর্যটনের উন্নয়নে বিশদ পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। পর্যটন মহাপরিকল্পনা সম্পন্ন হলে সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় কর্তৃক "বাংলাদেশের সুনীল অর্থনীতিতে পর্যটনের ভূমিকা" শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সুনীল অর্থনীতি বাংলাদেশের সামনে অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করেছে। উন্নত দেশের মর্যাদায় উন্নীত হতে দেশকে এগিয়ে নেবে সমুদ্রভিত্তিক এই অর্থনীতি।বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল ও সমুদ্র পর্যটনের সম্ভাবনার কথা বিবেচনায় নিয়ে সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা -২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ তে পর্যটনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেছে। বাংলাদেশের সমুদ্র ভিত্তিক পর্যটনে সময়োপযোগী ও সমন্বিত পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের পাশাপাশি বৃদ্ধি পাবে কর্মসংস্থান, অর্জিত হবে এসডিজি, শক্তিশালী হবে জাতীয় অর্থনীতি এবং পর্যটন শিল্প অংশীদার হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন-২০৪১ অর্জনে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যেখানে বিশ্ব জিডিপির ৫ শতাংশ এবং মোট কর্মসংস্থানের ৬ থেকে ৭ শতাংশ উপকূলীয় ও সমুদ্র পর্যটন থেকে আসে সেখানে আমাদের আর পিছিয়ে থাকার সুযোগ নেই। পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় ও সমুদ্র পর্যটন উন্নয়নে নানাবিধ উন্নয়ন কর্মকান্ড চলমান রয়েছে। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের নাফ ট্যুরিজম পার্ক, সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের কাজ চলছে। এই তিনটি পর্যটন পার্ক স্থাপনের ফলে ২ লাখ লোকের কর্মসংস্থান ও বছরের ২ বিলিয়ন ডলারের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুযোগ তৈরি হবে। এছাড়াও কক্সবাজার বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা, ঘুমধুম পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ, কক্সবাজারে খুরুশকুলে শেখ হাসিনা টাওয়ার, এথনিক ভিলেজ ও নিবিড় পর্যটন অঞ্চল তৈরি করা হচ্ছে। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন ভিত্তিক ইকো-ট্যুরিজমের উন্নয়নে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক ক্রুজ পরিচালনার লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের সচিব রিয়ার এডমিরাল (অবঃ) মো. খুরশেদ আলম। এছাড়াও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন পর্যটন অংশীজন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন