স্টাফ রিপোর্টার : জলবায়ুর ক্ষতিকর প্রভাবজনিত বিষয়ে প্যারিস চুক্তির আলোকে বাংলাদেশের জন্য যে সুযোগ ও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে সেটিকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। গতকাল বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সম্পর্কিত সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (এপিপিজি) আয়োজিত ‘২২তম বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২২), প্যারিস চুক্তি ২০১৫ এবং বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
এপিপিজির সেক্রেটারি জেনারেল শিশির শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শরমিন্দ নিলোর্মি এবং বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন অক্সফামের কান্ট্রি ডিরেক্টর সেনহাল ভি সোনেজি।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ হাছান মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ড. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, মো: আব্দুল ওয়াদুদ এমপি, ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল এমপি, ফখরুল এমাম এমপি, নাভানা আক্তার এমপি, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন এমপি, নবী নেওয়াজ এমপি, ইসরাফিল আলম এমপি এবং কাজী রোজী এমপি, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, ড. লিয়াকত আলী ও ড. জয়নুল আবেদীন বত্তব্য রাখেন।
গ্রিন হাউজ নিঃসরণ মানব জাতির জন্য হুমকিস্বরূপ জানিয়ে স্পিকার বলেন, যে গ্যাস নির্গমনের জন্য আমরা দায়ী নই তার বিরূপ প্রভাব আমাদের বহন করতে হচ্ছে, যা মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তিনি পরিবর্তিত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে যে অ্যাডহক ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরি হয়েছে তাদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার পাশাপাশি যৌক্তিক দাবিগুলো চিহ্নিত করে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মেলনে জোরালোভাবে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
স্পিকার বলেন, সরকারের পাশাপাশি এমপিরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট ক্ষেত্রগুলোতে কাজ করতে পারেন এবং তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বসে এমপিদের সমন্বয়ে একটি প্রস্তাব তৈরি করে অ্যাডাপটেশনের ক্ষেত্রগুলো বিশ্লেষণ করে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে সম্মেলনে উপস্থাপন করার আহ্বান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন