দলছুট এক বন্যহাতি কক্সবাজারের চকরিয়ার লোকালয়ে এসে তাণ্ডব চালাচ্ছে। বন্য হাতিকে তাড়াতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে মো. রহমত উল্লাহ নামের একজন নিহত হয়েছে। এসময় ওই বন্য হাতি বেশ কিছু বাড়ি ভাঙচুর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে।
এদিকে দলছুট বন্য হাতিকে তাড়াতে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বন বিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চকরিয়া থানা পুলিশের পৃথক টিম কাজ করছে। গতকাল সোমবার ভোরের দিকে দলছুট বন্য হাতিটি চকরিয়া উপজেলার ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ও কৈয়ারবিল ইউনিয়নের মধ্যবর্তী এলাকার খিলছাদকে এ তাণ্ডব চালায়। নিহত মো. রহমত আলী ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রিংভং ছগিরশাহকাটা এলাকার আবদুস সালামের ছেলে।
তিনি ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের অধীন ভিলেজার হিসেবে কর্মরত ছিলো। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল হান্নান বলেন, ভোররাতের দিকে একটি দলছুট বন্য হাতি বিএমচরের পাহাড়িয়া পাড়ার সবজি ক্ষেতে অবস্থান করছিলো। সকালে কৃষকরা মাঠে গেলে বন্য হাতিকে দেখতে পায়। এসময় স্থানীয় উৎসুক জনতা এলাকায় হাতি এসেছে খবর পেয়ে ভিড় করে।
পরে খবর পয়ে সাফারি পার্ক, ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জ ও বন বিটের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এসময় দলছুট বন্য হাতিকে তাড়ানোর জন্য বন বিভাগের ভিলেজার রহমত আলী খড়ে আগুনের লাগিয়ে ওই হাতির দিকে নিক্ষেপ করে। পরে হাতিটি ফিরে এসে ভিলেজার রহমতকে পা দিয়ে পিষ্ট করে আহত করে। বন বিভাগ ও পুলিশ তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিএমচরের বাসিন্দা ইমতিয়াজ আহমদ রাজিব বলেন, দলছুট বন্য হাতিটি সকাল থেকে এলাকায় ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষতি করেছে। মানুষজন খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে।
ফাঁসিয়াখালী রেঞ্জের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তা ও ভিলেজারদের নিয়ে হাতিটিকে বনে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে ঘটনাস্থলে যায়। এসময় দলছুট বন্য হাতিকে ফেরাতে গিয়ে হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে বন বিভাগের ভিলেজার রহমত আলী মারা যায়। হাতিকে বনে ফেরাতে এখনও চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন