রাজশাহী ব্যুরো : রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনের লিফট সংলগ্ন দেয়ালে বাঁশের অস্তিত্ব নিয়ে হৈ-চৈ শুরু হয়েছে। রক্ত পরিঞ্চালন বিভাগের প্রধান ড. মোসাদ্দেক হোসেনকে প্রধান করে গণপূর্ত বিভাগের দুই প্রকৌশলী ও একজন ভবন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে করা হয়েছে তদন্ত কমিটি। এদের তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। এরপর সুপারিশ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে। প্লাস্টারের নীচে বাঁশের ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা ছড়িয়ে পড়লেও হাসপাতাল কতৃৃপক্ষ ও গণপূর্ত বিভাগ বলছে এ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। বছর চারেক ধরে চলছে ভবনে কাজকর্ম। রডের বদলে বাঁশ ব্যবহার করা হলে এতো দিনে ভবন ধ্বসে পড়তো। তবে এতে পুরোপুরি আশস্ত হতে পারছে না সচেতন সমাজ। পুরো ভবনের বিভিন্ন স্থান খতিয়ে দেখার জন্য দাবী জানিয়েছেন। হাসপাতাল পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল এ এফ এম রফিকুল ইসলাম বলেন ঘটনা যাই হোক অভিযোগ যখন পাওয়া গেছে তখন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। নেয়া হবে ভবন বিশেষজ্ঞদের মতামত।
হাসপাতালের পুরাতন ভবনের মাঝে পঁচিশ কোটি টাকা ব্যায়ে চারতলা ভবনটি নির্মাণ করে গণপূর্ত বিভাগের তত্ত্বাবধানে ঢাকার মার্কস নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বছর চারেক আগে এটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রী আফম রুহুল হক। এই ভবনটিতে স্থানান্তর হয় হৃদরোগ বিভাগ। হঠাৎ করে লিফটের পাশের দুটি টাইলস ধ্বসে পড়লে নজরে আসে বাঁশ-কাঠের অস্তিত্ব। গণমাধ্যমে বিষয়টা চলে আসে। ভবন পরিদর্শন করে গতকাল গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী-২ এক বার্তায় বলেন ভবনের তৃতীয় তলায় লিফটের দরজার সামনে দু’-একটি টাইলস ব্যবহার জনিত কারণে উঠে গেছে। প্রকৃত পক্ষে ফ্লোর এবং লিফটের দরজার মধ্যে প্রায় দুই ইঞ্চি ফাঁক রয়েছে। এই ফাঁকের ওপর টাইলস বসানো হয়েছিল। ব্যবহার জনিত কারণে টাইলস খসে যাওয়ায় ঐ সাপোর্ট বেরিয়ে যায়। এটি কোন ভাবেই কাঠামোরও ত্রুটি নয়। তাই রডের বদলে বাঁশ ব্যবহারের বিষয়টা যথাযথ নয়। তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বলেন ঠিকাদার ফাঁক পুরনের জন্য বাঁশ কাঠ ব্যবহার না করে টিন জাতীয় কোন প্লেট বসিয়ে তারপর টাইলস বসাতে পারত। তারপরও তদন্ত কমিটি হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। যেহেতু কাঠামোগত কোনো ত্রুটি নয়। তাই এ ব্যপারে শঙ্কিত হবার কিছ নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন