কোটালীপাড়া উপজেলা সংবাদদাতা : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় স্বেচ্ছাশ্রমে পয়সারহাট নদীতে ৩ শ’ ফুট বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ১০টায় মুশুরিয়া শহীদ শেখ রাসেল স্মরণী যুব স্মৃতি সংঘের উদ্যোগে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকোটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। সরেজমিন জানা যায়, প্রায় একযুগ ধরেই এ বাঁশের সাঁকোটি গ্রামবাসীর সহযোগিতায় প্রতি বছরই নির্মাণ হয়ে থাকে। গত ২৩ নভেম্বর ২০০৪ শিশু শিক্ষার্থীদের পারাপারের সময় ওই স্থানে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রছাত্রী লিথা বৈদ্য (৮) ও একই শ্রেণীর কবিতা মধু (৮) -এর নৌকা ডুবিতে মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও এ স্থানে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ব্রিজ না থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো দিয়ে চলবল, পিরার বাড়ি, কাফুলা বাড়ি, জহরের কান্দি, রামশীল, সৈলদাহ মুশুরিয়াসহ ১০টি গ্রামের প্রাইমারি, মিশনারি স্কুল, হাইস্কুল ও কলেজের প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গ্রামবাসী ওই সাঁকো পারাপার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পরিবহন করে থাকেন। এ প্রসঙ্গে কথা হয় স্বেচ্ছাশ্রমে নিবেদিত রামশীল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র উইলিয়াম, জয় সমদ্দার, মিমি সমদ্দার , দীপ ম-ল, প্রধান শিক্ষিকা শিল্পি বাড়ৈ, অনিমা বৈদ্য, সূর্যকান্ত বাইন ও মুশুরিয়া চাইন্ড স্পন্সরশিপ প্রোগ্রাম বিডি ৪২-এর ম্যানেজার স্বপন কুমারের সাথে। তারা জানায়, সাঁকোটির স্থলে ব্রিজ নির্মাণ অতি জরুরি। আমরা এলাকাবাসীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনস্বার্থে ব্রিজটি নির্মাণের জোর দাবি জানাই।
মুশুরিয়া শহীদ শেখ রাসেল স্মরণী যুব স্মৃতি সংঘের সভাপতি সোনাতন বৈদ্য জানান, শিশুশিক্ষায় দুইটি মিশনারি স্কুল, একটি প্রাইমারি, একটি হাইস্কুল ও একটি কলেজের শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো পার হয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করে থাকে। এলাকাবাসীর জন্য এ স্থানে ব্রিজ নির্মাণ করা আমাদের দীর্ঘদিনের দাবি। জাতীয় সংসদ, উপজেলা ও ইউপি নির্বাচনে এ এলাকার ভোটারেরা ব্যাপক ভূমিকা রাখে। সে কারণে নির্বাচন এলেই নেতাদের পা পড়ে এ অঞ্চলে। নির্বাচন শেষে কেউ খবর রাখেন না। ফলে হতভাগা মানুষগুলোর জীবনচিত্র কখনোই বদলায় না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের দুর্ভোগচিত্র সংবাদকর্মীদের মাধ্যেমে তুলে ধরতে চাই। সাঁকোটির দুই পাড়ের জমির মালিকগণ স্বেচ্ছায় ব্রিজ নির্মাণে জমি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। যোশেফ বাড়ৈর ছেলে রেমন বাড়ৈ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুমতি পেলে স্বেচ্ছায় জমি দান করব। এলাকাবাসীর দুর্ভোগ প্রসমন ও কঁচিকাচা ছেলে-মেয়েদের নিরাপদ যাতায়াত ও আলোকিত জীবন গড়তে চাই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন