২০১৯ সালের আগস্ট থেকে থেকে এ পর্যন্ত টানা ৬ মাস অধিককাল ভাতা পাচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারীরা। তাদের দাবি, ২ মাস ধরে বিভিন্ন দফতরে ঘুরতে ঘুরতে আশ্বাসেই দিন কাটছে তাদের।
প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সময়ের অনুপাতে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন ভাতা দেওয়া হয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের। যেসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত কর্ম সম্পাদন করার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে অতিরিক্ত কাজ করানো হয় তাদের জন্য আলাদাভাবে নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন ভাতা রাখতে হয়, যাকে বলা হয় অধিকাল ভাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল বিভাগে সার্বক্ষণিক জনবল প্রয়োজন হয়। তাই এ বিভাগের কর্মচারীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও কাজ করতে হয়, যার জন্য তাদেরকে আলাদা মজুরি দেওয়া হতো। কিন্তু বিগত ছয় মাস ধরে তাদের অতিরিক্ত এ টাকা দেওয়া হচ্ছে না।
বেশ কিছু কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মচারীরা কর্মক্ষেত্রে ছিল না তখনও তারা ছিল। দূর-দূরান্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে তাদের গাড়ি ভাড়া বাবদ অনেক টাকা খরচ হতো। যা তারা পুষিয়ে নিতে পারতেন কর্মঘণ্টার অতিরিক্ত সময়ের মজুরি দিয়ে। কিন্তু বিগত ৬ মাস ধরে তাদের এ টাকাটা না দেওয়াতে বিপাকে পড়ে কর্মচারীরা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন সূত্রে জানা যায়, এ বিভাগের কর্মচারীদের টাকা আদায় করে দেওয়ার দায়িত্বে আছেন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল খালেক। তবে তার সদিচ্ছার অভাবেই কর্মচারীরা টাকা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ কর্মচারীদের। তাদের দাবি, প্রকৌশলী আব্দুল খালেক আমাদের দায়িত্বে আছেন। কিন্তু আমরা আমাদের অধিকারের কথা বললে তিনি আমাদের সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সভাপতি বলেন, তারা কাজ করেছে, টাকা পাওয়া তাদের অধিকার। বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় থেকে টাকা দিবে সেটা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। তারা তো শুধু তাদের অধিকারের কথা বলেছে। সুতরাং, আমি অতি সত্বর তাদের টাকা দেওয়ার আহ্বান জানাই।
বিষয়টি নিয়ে কথা বললে প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম রাসেদুল হাসান মো. আব্দুল খালেক বলেন, তাদের দাবিটা যৌক্তিক কিন্তু আমরা তো কিছু করতে পারছি না। করোনাকালীন সময়ে কিছু ভাতা বন্ধ করে দেয় সরকার। কিন্তু আমাদের পানি, বিদ্যুতের কাজ তো সবসময়ই করা লাগছে। তাই তাদেরকেও সবসময়ই ডিউটি করতে হয়েছে। তাদের দাবি পূরণে আমরা চেষ্টা করছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারা মহোদয় চেষ্টা করছেন। যত দ্রুত সম্ভব তাদের জন্য বাজেটের ব্যাবস্থা করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন