মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

নাটোরে ১০ টাকার চাল উত্তোলনে অনিয়ম খাদ্য কর্মকর্তা প্রত্যাহার ॥ তদন্ত কমিটি গঠন

প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নাটো জেলা সংবাদদাতা : নাটোরে হতদরিদ্রদের জন্য দেয়া সরকারের ১০ টাকা কেজি চাল উত্তোলনে ব্যাপক অনিময়ের অভিযোগে সদরের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা (ওসি, এলএসডি) মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে প্রতাহার করে দুই সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশে হতদরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে কার্ডের মাধ্যমে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির জন্য খাদ্য গুদাম থেকে চাল ওঠাতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলারদের বিভিন্ন অংকের উৎকোচের টাকা গুণতে হচ্ছে এমন অভিযোগে নাটোর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামানকে মঙ্গলবার বিকেলে প্রত্যাহার করা হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামাল হোসেন প্রত্যাহারের এই নির্দেশ দিয়ে পাবনার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল কাদেরকে প্রধান ও বগুড়ার উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ওমর ফারুককে সদস্য করে মোট দুই সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে নাটোরের জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল ইসলাম জানান, গঠিত তদন্ত কমিটি ইতোমধ্যেই তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছেন। দোষ প্রমাণ হলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী বব্যস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে নাটোরের জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন জানান, বিষয়টি তিনি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কমকর্তাকে জানিয়ে দিয়েছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য বিভাগের চাল সরবরাহকারী অন্য আরো একজন ডিলার জানান, নাটোরের খাদ্য বিভাগ একটি দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। সেখানে টাকা না দিলে কোনো কাজই হয় না। ভালো ধান-চাল সরবরাহের সময়েও তারা নানান দোষ-ত্রুটি বের করলে টাকা দিয়ে সুরাহা করতে হয়। খাদ্যশস্য উত্তোলনের জন্য ডিও তোলা থেকে শুরু করে চাল, গম অথবা ধান গোডাউনে ঢুকানো বা বের করার প্রতিটি পর্বেই উৎকোচের টাকা গুনতে হয়। তারা স্থায়ীভাবে ধান-চাল সরবরাহের ব্যবসা করার কারণে হয়রানির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না বলেও জানান। এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জগদীশ চন্দ্র বলেন, উৎকোচ গ্রহণের অভিযোগ সঠিক নয়, মনগড়া কথা যে কেউ বলতেই পারেন। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, তিনিও কোন টাকা-পয়সা নেন না তবে গুদামের শ্রমিকরা নিয়ে থাকতে পারেন। অভিযোগ পেলে সে বিষয়ে তিনিও ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন তবে ব্যবস্থা নেননি। শ্রমিক সর্দার বাবু বলেন, তারা ডিলাদের কাছ থেকে চেয়েই বকশিশ নেন তবে অফিসে সাহেবদের দিতে হয় কিনা তা তাদের জানা নেই।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন