শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সালিশে এনে কিশোরীকে চেয়ারম্যানের বিয়ে

হাইকোর্টে পৌঁছেছে তদন্ত প্রতিবেদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০৩ এএম

তরুণের সঙ্গে কিশোরীর প্রেমঘটিত সম্পর্কের সালিশ করতে গিয়ে ওই কিশোরীকে নিজেই বিয়ে করে ফেলেছিলেন পটুয়াখালির বাউফল উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন হাওলাদা। এ ক্ষেত্রে ওই চেয়ারম্যান ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন কি-না সেটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সেই প্রতিবেদন গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চে প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।

গত বছরের ২৭ জুন স্বপ্রণোদিত হয়ে রুলজারি সহ আদেশ একই বেঞ্চ। ২০২০ সালের ২৭ জুন প্রেমের টানে বাড়ি ছাড়া দুই কিশোর-কিশোরীর বিষয়ে ডাকা সালিশে কিশোরীকে চেয়ারম্যান নিজেই বিয়ে করেন। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। প্রেমের টানে এক কিশোরের সঙ্গে বাড়ি ছাড়েন তিনি। বিষয়টি জানার পর কিশোরীর বাবা ইউপি চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন হাওলাদারের (৬০) কাছে নালিশ করলে তিনি সালিশ ডাকেন। বিয়ের কাবিননামায় মেয়েটির জন্মতারিখ উল্লেখ করা হয় ২০০৩ সালের ১১ এপ্রিল। কিন্তু বিদ্যালয়ে দেয়া জন্মনিবন্ধন ও পিএসসি পাসের সনদ অনুযায়ী মেয়েটির জন্মতারিখ ২০০৭ সালের ১১ এপ্রিল। বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দেয়। ওই কিশোরীর বাবাও ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে অপ্রাপ্তবয়ষ্ক মেয়ের বিয়ে দেয়া কথা স্বীকার করেন। তবে বিয়ে যিনি পড়িয়েছিলেন, তার মাধ্যমেই চেয়ারম্যানকে তালাক দিয়ে বাড়ি ফিরে যায় সেই কিশোরী। তালাকের পর ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলেন, চেয়ারম্যানের সালিশে গিয়েছিলাম পছন্দের ছেলেকে বিয়ে করতে। কিন্তু বিয়ে করতে হয়েছে চেয়ারম্যানকে। আমি এক রাত চেয়ারম্যানের বাসায় থাকলেও কোনোভাবেই তাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারিনি। চেয়ারম্যান তা বুঝতে পেরে তালাক দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন