গত বছরের অক্টোবরে অনুষ্ঠিত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষায় অনুপস্থিত থেকে অন্য একজনের মাধ্যমে পরীক্ষা দিয়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) ভর্তি হতে আসা এক শিক্ষার্থীকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটি। প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে মামলা করবে বলে জানিয়েছেন সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল। জানা যায়, আটককৃত শিক্ষার্থীর নাম ইকবাল হোসেন সাঈদ। সে কক্সবাজার চকোরিয়ার সবুজবাগের রফিকুল ইসলাম ও ফাতেমা বেগম দম্পতির ছেলে।
গত ২৪ অক্টোবর সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত গুচ্ছ ভর্তিপরীক্ষার ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ইউসুফ চৌধুরী ভবনের ২য় তলার ১ নম্বর রুমে সিট পড়ে তার। তবে বন্ধু আতিকুর রহমানের মাধ্যমে ভর্তি জালিয়াতি চক্রের সাথে বন্ধুর বড় ভাই শহিদুল ইসলামের যোগাযোগ রয়েছে বলে জানতে পারে সে। পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে তাই আতিকের ব্যাংক একাউন্টে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা হস্তান্তর করে ইকবাল। ইকবাল জানায়, তার বন্ধু আতিকুর রহমান বর্তমানে চট্টগ্রাম কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি থাকলেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তির জন্য প্রথম সাক্ষাৎকার দিয়েছে এবং বন্ধুর বড় ভাই শহিদুল ইসলাম বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪র্থ বর্ষে অধ্যয়ন করছেন।
ভর্তি কমিটি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আবু হেনা পহিল সূত্র জানায়, ভর্তির সময় ইকবাল হোসেন সাঈদের স্বাক্ষরের সাথে উত্তরপত্রের স্বাক্ষরের কোনো মিল না পাওয়ায় তাকে সন্দেহ করা হয়। উত্তরপত্রের লেখার সাথে হাতের লেখারও কোনো মিল পাওয়া যায় নি। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি এন্ড অ্যানিমেল সায়েন্স ইউনিভার্সিটির ইউসুফ চৌধুরী ভবনের ২য় তলার ১ নম্বর রুমে তার আসন সম্পর্কেও কিছু বলতে পারেনি সে। পরে পরীক্ষায় দাগানো বিষয়গুলোতে প্রাপ্ত নম্বরও জানেনা ইকবাল। এমনকি তার কাছে এসএসসির পূর্ণরুপ জানতে চাইলে তার জবাব দিতেও ব্যর্থ হয় সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রশ্ন ফাস ও জালিয়াতি চক্রের একটি সূত্রের ব্যাপারে জানিয়েছে। তার কথামতো আমরা দুইজনের বিষয়ে জানতে পেরেছি। এর ভিতরে একজন তার বন্ধু, অন্যজন তার বন্ধুর আপন বড় ভাই। তবে সে দাবি করেছে জালিয়াতি চক্রের কাউকে সে চিনে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন