শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রদীপ-লিয়াকতের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০১ এএম

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। সংশ্লিষ্ট শাখা কক্সবাজারের বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স হাতে পেয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মুহাম্মদ সাইফুর রহমান এ তথ্য জানান। আইনজ্ঞরা জানান, ফৌজদারি মামলায় বিচারিক আদালত যখন আসামিদের মৃত্যুদণ্ড দেন তখন ওই দণ্ড কার্যকরের জন্য হাইকোর্টের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এজন্য সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৭৪ ধারা মোতাবেক মামলার সব নথি হাইকোর্টে পাঠিয়ে দেন। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ওই নথি আসার পর হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করে। পেপারবুক তৈরি হলে মামলাটি হাইকোর্টে শুনানির জন্য ‘তৈরি’ মর্মে ধরে নেয়া হয়। পেপারবুক প্রস্তুত হওয়ার পর ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিরা যদি আপিল করে থাকেন তা শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেন।

এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি সিনহা হত্যা মামলায় কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালত বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এছাড়া ৬ আসামি সাবেক এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব, রুবেল শর্মা, পুলিশের সোর্স নূরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এছাড়া এপিবিএনের এসআই শাহজাহান আলী, কনস্টেবল মো. রাজীব ও মো. আব্দুল্লাহ কনস্টেবল সাফানুল করিম, কামাল হোসেন, লিটন মিয়া ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেন আদালত।

প্রসঙ্গত: ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনার পাঁচদিন পর ওই বছরের ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে তৎকালীন ইনচার্জ লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে ২ নম্বর আসামি করে ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে র‌্যাব। ২০২০ সালের ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে র‌্যাব। চার্জশিটে সিনহা হত্যাকাণ্ডকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (11)
কামাল রাহী ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৪৪ এএম says : 0
দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের ফাঁসি দেয়া হোক
Total Reply(0)
Sahab Uddin ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫২ এএম says : 0
পাপ বাপকেও ছাড়েনা এখন যারা ক্ষমতার অপব্যবহার করতেছেন তারাতারি সঠিক পথে পিরে আসুন আর না হয় ওসি প্রদিপের মত হবে
Total Reply(0)
Khairul Islam ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫২ এএম says : 0
অতি দ্রুত রায় কার্যকরের মাধ্যমে একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক
Total Reply(0)
Jamil Hossain ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৪ এএম says : 0
Ader deke baki der sikka houa uchit. Jara akono asob kore jacce. Dikkar janai r druto fasi karjokor kora hok.
Total Reply(0)
Kaisar Rahim ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৪ এএম says : 0
Final judgment should move forward as quickly as possible period
Total Reply(0)
Mubinur Rahman Mubin ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৫ এএম says : 0
ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে প্রকাশ্যে এদের রায়টা কার্যকর করা হউক।
Total Reply(0)
AhmEd Al Milon ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ২:৫৫ এএম says : 0
কোনধরনের নাটক দেখতে চাই না আমরা যত দ্রত সম্ভব এদের কে ফাঁসি দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Saifullah ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৪৪ এএম says : 0
খুনি প্রদীপ আপিলের যোগ্য হওয়া উচিত নয়। সে মেজর সিনহাসহ ২৬৪ জনকে হত্যা করেছে। ক্রসফায়ারের নামে মানুষ মারার সাহস এই জারজ কোথা থেকে পেল? যদি সিনহাকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার না করা হতো তাহলে এই জঘন্য অপরাধীর হাতে কত মানুষ মারা যেত একমাত্র আল্লাহই জানেন। তাকে অবশ্যই ফাঁসিতে ঝুলানো উচিত। তার অবৈধ সম্পদ সকল ভুক্তভোগীদের মধ্যে বণ্টন করা উচিত। তিনি বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় ইসকন এজেন্ট এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবৈধ কার্যকলাপ করার জন্যও দায়ী
Total Reply(0)
Joy ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৪:৪৬ এএম says : 0
আশা করি prodip মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে.এটর্নি রানা দাশ গুপ্তের মতো কিছু ভারতীয় হিন্দু এজেন্ট ছাড়া 99% বাংলাদেশি প্রদীপের মৃত্যু প্রত্যাশিত। তিনি যা করেছেন তার জন্য কোনো আপিলের সুযোগ থাকা উচিত নয়। মানুষ এখন প্রদীপকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেখতে চায়। কিন্তু আমাদের সোনার বাংলাদেশে নাটকীয় মিস্টার জর্জকে খুঁজে পাওয়ার সহজ সুযোগ রয়েছে। আমরা চাই না মিঃ জর্জের মৃত্যুদন্ড কার্যকর হোক এবং খুনি প্রদীপকে নিরাপদে ভারতে পাঠানো হোক
Total Reply(0)
মোহাম্মদ দলিলুর রহমান ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৮:২১ এএম says : 0
ইনসআললাহ মাননীয় প্রধান বিচারপতি অবশ্যই এ রায় কার্য কর করতে দেরি করবে না,যারা একশত চার জন লোক হত্যা করেছে তাদের একশত চার বার ফাঁসি হওয়া উচিত,এই জন্য মাননীয় আদালত প্রকাশ্যে এদের শাপলা চততরে ফাঁসি আদেশ দিয়ে জনগণকে খুশি করবেন,এতে আর কেউ এই সাহস করবে না।
Total Reply(0)
Mohammad Jafar Ullah ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ৯:১৬ এএম says : 0
ঢাকার শাপলা চত্ত্বরে প্রকাশ্যে এদের শীর উচ্ছেদ কার্যকর করা হউক।
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন