ফটিকছড়িতে ধান বোঝাই এক চাঁদের গাড়ি ট্রাফিক পুলিশের ধাওয়া খেয়ে দ্রুতবেগে পালানোর সময় উল্টে গিয়ে চাপা দিলে দুই স্কুল ছাত্রী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ উপজেলার পাইন্দং ফেলা গাজী দিঘী এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হাইদচকিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিশু আক্তার (১৬) ও নিশা মনি (১৬)। দুর্ঘটনার মূহুর্তেই পথচারীরা চাঁদের গাড়ির নীচ থেকে দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নাজিরহাটস্থ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর এলাকাবাসী, পথচারী এবং নিহতদের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে চট্টগ্রাম- খাগড়াছড়ি মহাসড়ক ও ফটিকছড়ি-হেয়াকো আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে এবং ট্রাফিক পুলিশের একটি মোটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেয়।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অবরোধ তুলতে গেলে ফটিকছড়ি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এসএম আলমগীরের উপর উত্তেজনা জনতা চড়াও হয়ে তাকে ফেরৎ পাঠায়। পরক্ষণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মইনুল হাসান এবং হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহাদাত হোসেন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করে দু'ঘন্টা পর সড়ক অবরোধ তুলে নেয়ার ব্যবস্থা করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর নিকিল চাকমা গাড়ী আটকিয়ে টাকা আদায়ের জন্য একটি চান্দের গাড়িকে (ঢাকা-গ-৮৪৫৪) ধাওয়া দিলে গাড়িটি দ্রুতবেগে পালানোর সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে রাস্তার পাশ ধরে চলা দুই ছাত্রীকে চাপা দেয় এবং দু'জনই ঘটনাস্থলে নিহত হয়। নিহত মিশু আক্তারের পিতা হচ্ছে স্থানীয় দক্ষিণ পাইন্দং মোল্লা বাড়ির মোঃ আবুল বশর আর নিশা মণি'র পিতা হচ্ছে জনকি বাপের বাড়ীর মোঃ লোকমান হোসেন। এদের ময়নাতদন্ত ছাড়াই দাফন করার জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দুই ছাত্রীর মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পাইন্দং এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন