বেনাপোল অফিস : যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামে যৌতুকের দাবিতে খাদিজা বেগম (২০) এক নববধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী মশিয়ার রহমান।
নিহতের পিতা এই মৃত্যুর জন্যে স্বামীকে দায়ী করে তার বিচার দাবি করেছেন। মৃত খাদিজা বেগম সাতমাইল গ্রামের মশিয়ার রহমানের স্ত্রী। ৫ মাস আগে খাদিজা বেগমের বিয়ে হয় মশিয়ারের সাথে। নিহতের পিতা বিল্লাল হোসেন জানিয়েছেন, বিয়ের সময় মশিয়ার রহমান ৫০ হাজার টাকা যৌতুক দাবি করে। তখন তাকে ওই টাকা দেয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময় পিত্রালয় থেকে টাকা আনার জন্য খাদিজার ওপর স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ চাপ দিত এবং টাকা না দেয়ায় প্রায়ই তাকে শারীরিক নির্যাতন চালাতো মশিয়ার।
গত শনিবার রাত ৯টায় যৌতুক চাওয়া নিয়ে স্বামী, শাশুড়ি ও ননদের সাথে ঝগড়া হয় খাদিজার। এক পর্যায়ে তারা বেদম প্রহার করলে খাদিজা গুরুতর আহত হয়। এরপর জোরপূর্বক তার মুখে কীটনাশক ঢেলে দেয়া হয়।
বিল্লাল হোসেন আরো জানিয়েছেন, পরে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে কীটনাশক পান করেছে বলে খাদিজাকে বাগআঁচড়া জোহরা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। যেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
শার্শা থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, শার্শা থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত রির্পোর্টের ফলাফলের ভিওিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন