ইউক্রেনের উত্তর সীমান্তে আরও এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। গতকাল বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগনের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, আমরা গত ২৪ ঘণ্টা ধরে ইউক্রেন এবং বেলারুশের সীমান্তে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের ঘটনা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। আমরা নির্দিষ্ট সংখ্যা বলতে পারছি না তবে সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে উত্তর সীমান্তে এই সংখ্যা এক লাখ।
পুতিনের নাম উল্লেখ করে কিরবি বলেন, আমরা ইঙ্গিত পাচ্ছি যে কৌশলগত দল অতিরিক্ত ব্যাটালিয়ন ইউক্রেন সীমান্তের পথে রয়েছে। সুতরাং প্রতিদিন সে (পুতিন) তাঁর শক্তি বাড়াচ্ছেন। প্রতিদিন তিনি পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করে চলেছেন। তবে তিনি সহজেই এই বাহিনীকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এবং কূটনৈতিক পথে এগিয়ে পুনরায় পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে পারেন।
এর আগে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। সেখানে মাখোঁ সদ্য শেষ হওয়া রাশিয়া ও ইউক্রেনের নেতাদের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের বিষয়ে বাইডেনকে অবিহিত করেন।
চলতি সপ্তাহে মাখোঁ রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার চলমান উত্তেজনা কমাতে পুতিন ও ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে চলতি সপ্তাহেই যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছিল, যেকোনো দিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। দিন দু’য়েক আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাসভবন হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাডভাইজার জ্যাক সুলিভান বলেন, কয়েকদিন বা সপ্তাহের মধ্যে ইউক্রেনে হামলার নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট পুতিন।
সেসময় তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখন একটি মাঝামাঝি অবস্থানে আছি। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়া যেকোনো দিন সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে। অথবা এটি এখন থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেও হতে পারে। অথবা রাশিয়া হয়তো কূটনৈতিক রাস্তাও বেছে নিতে পারে।’
পরে এবিসি চ্যানেলর ‘দিজ উইক’ অনুষ্ঠানে সুলিভান বলেছিলেন, ‘রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে হামলা চালানোর নির্দেশ দেবেন, এমন সম্ভাবনা বেশ জোরালো। এটি আগামীকালও হতে পারে আবার, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেও হতে পারে। সীমান্তে সৈন্য সমাবেশের মাধ্যমে পুতিন এমন এক অবস্থানে চলে গেছেন, যেখান থেকে তিনি আগ্রাসী আচরণ করতে সক্ষম।’
রাশিয়া অবশ্য বারবারই বলে আসছে যে, ইউক্রেনে হামলার কোনো পরিকল্পনা নেই মস্কোর। আর ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন করা হলেও সেনাসদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন মেনে রুশ ভূখণ্ডের ভেতরেই অবস্থান করছে। সূত্র : এএফপি
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন