গার্মেন্টস কর্মী সাথী আক্তার (১৯)। পুনরায় বিয়ে করতে রাজি না হওয়ায় ডিভোর্সি স্বামী এসিডে তার মুখ ঝলসে দেয়। মৃত্যুর সাথে ১২ দিন পাঞ্জা লড়ে গত বুধবার রাতে শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাথী।
সাথীর বড় ভাই সোহেল হোসেন গতকাল বৃহস্পতিবার জানান, সাটুরিয়া উপজেলার ধানকোড়া ইউনিয়নের কাটাখালী ফেরাজীপাড়ার ২৯ জানুয়ারি মা ও বোনের সঙ্গে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো সাথী। ঘরের ভাঙ্গা জানালা দিয়ে মাঝরাতে সাবেক স্বামী মানিকগঞ্জের বেতুলিয়া গ্রামের নিজামুদ্দিনের ছেলে নাঈম হোসেন (৩০) এসিডে ছুড়ে মারে। এতে সাথীর মুখে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বোন ইতি আক্তার (৮) ও মা মোছা. জুলেখা বেগম এর শরীরের বিভিন্নস্থানে ঝলসে যায়। পরবর্তীতে ঝলসানো মুখ ও শরীর নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ১২ দিন চিকিৎসাধীন ছিল।
ঘটনার পর ১ এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি নাঈমকে গ্রেফতার করে র্যাব ৪।
সাটুরিয়া থানার ওসি আশরাফুল আলম জানায়, ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় সাথীর শরীরে এসিড ছুড়ে মারে নাঈম। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানায় এসিড নিক্ষেপের একটি মামলা হয়েছে। গার্মেন্টস কর্মী সাথী মারা যাওয়ায় এখন এ মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন