আওয়ামী লীগের দুটি সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ওপর দলবেধে হামলা ও অপহরণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা শাহেদুল আলম চৌধুরীর করা মামলায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতা-কর্মী ও সমর্থককে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার সকালে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেঁজুতি জান্নাতের আদালতে এজাহারভুক্ত ৪ আসামি জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। তারা হলেন জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিৎজয় ত্রিপুরা ও সাইফুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম রুবেল এবং শামিম গাজী।
এর আগে গত বুধবার এজাহারভুক্ত ৯ আসামির জামিন বাতিল করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। আসামিরা হলেন- খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল করিম, মো. আরিফ, দিগন্ত ত্রিপুরা, আসাদুজ্জামান চৌধুরী, মো. রিয়াদ, ক্লিনটন ত্রিপুরা, তরুণ ত্রিপুরা, ইমরান হোসেন ও মো. রাব্বী।
এদিকে মামলার অন্যতম আসামি জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলকে মামলার বাদী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহেদুল আলম চৌধুরীর জিম্মায় অন্তবর্তীকালীন জামিন দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মামলার বাদী শাহেদুল আলম চৌধুরীকে নিরাপত্তা দিতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
উল্লেখ্য. গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি জেলা শহরে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। একই সময় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবাদুর রহিম নাঈমকে অপহরণ করা হয়। পরে পুলিশ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েলের বাসা থেকে তাকে উদ্ধার করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন