যশোর ও নড়াইলে ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই রাস্তায় ৫ হাজারের বেশি চালক গাড়ি চালাচ্ছেন। অন্যদিকে চালকদের অভিযোগ, আবেদন করেও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাচ্ছেন না।
যশোর বিআরটিএ অফিসে যশোর ও নড়াইল দুই জেলার কার্যক্রম সমন্বিতভাবে হয়। এই দুটি জেলায় রেজিস্ট্রেশনকৃত গাড়ি রয়েছে ৫ হাজার ৮০০। আর চালকের লাইসেন্স রয়েছে মাত্র ৫০৮টি। চালকের লাইসেন্স ছাড়াই চলাচল করছে ৫ হাজার ২৯২টি গাড়ি।
যশোর বাস মালিক সমিতির সভাপতি বদরুজ্জামান বাবলু জানান, যশোর-সাতক্ষীরা, যশোর-মাগুরা, যশোর-চৌগাছা, যশোর-ফরিদপুর, যশোর-বরিশাল, যশোর-ছুটিপুর-বেংদাহ, যশোর-রাজগঞ্জ, ঝিকরগাছা-বাঁকড়া, নাভারণ-সাড়াতলা, যশোর-নারকেলবাড়িয়াসহ এই অঞ্চলের সড়কগুলোয় এক হাজার হাজার বাস, মিনিবাস চলাচল করে। যশোর আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও ঈগল পরিবহনের স্বত্ত্বাধিকারী পবিত্র কাপুড়িয়া জানান, চালকরা বিআরটিএতে আবেদন করেও লাইসেন্স পাচ্ছেনা। সমস্যা হচ্ছে বিআরটিএ’র, আর দোষ হচ্ছে চালকদের।
যশোর পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা মিঠু জানান, বাস চালকরা বর্তমানে আবেদন করেও লাইসেন্স পাচ্ছে না। শ্রমিকদের লাইসেন্স না থাকলে কোনো দুর্ঘটনা হলে হত্যা মামলা হতে পারে। এজন্য আমরা সাবাইকে লাইসেন্স করতে তাগাদা দিচ্ছি। আবার মালিক পক্ষকেও দেখতে হবে তিনি যার কাছে গাড়ি চালাতে দিচ্ছেন তার লাইসেন্স রয়েছে কিনা।
যশোর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক খন্দকার মশিউর রহমান জানান, আমাদের লাইসেন্স ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গত মাসেও আমরা ২৩৫টি মামলা করেছি। আর ২০২১ সালে ট্রাফিক পুলিশ ১৭ হাজার বিভিন্ন গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান জানান, আমাদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফিটনেসবিহীন মোটরযানের তালিকা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিআরটিএ’র পাশাপাশি মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এজন্য কাজ করছে। ইতোমধ্যে গাড়ি সংস্কার ও কাগজপত্র হালনাগাদের জন্য নোটিশ জারি করেছে বিআরটিএ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন