জীবন ও মৃত্যু নিয়ে পৃথিবীতে অনেক ধরনের বিশ্বাস রয়েছে। প্রতিটি ধর্মেই একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরের যাত্রা নিজস্ব উপায়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে এবং মৃত্যু পরবর্তী 'জীবন' নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। মৃত্যুর পর মানুষের শরীরে কী ঘটে, তা নিয়ে বিজ্ঞান ও ধর্মের মধ্যে সবসময়ই বিতর্ক রয়েছে। আত্মা বা চেতনা কি দেহে থাকে নাকি দেহ ছেড়ে অন্য যাত্রায় যায়?
এবার একজন কসমোলজিস্ট এই বিষয়ে একটি চমকপ্রদ দাবি করেছেন, যা শুনলে আপনিও অবাক হয়ে যাবেন। কসমোলজিস্ট ডক্টর শন ক্যারল দাবি করেছেন, পৃথিবীর সব কিছু যদি বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী ঘটে, তবে পদার্থবিজ্ঞানের মতে, মৃত্যুর পর কোনো জীবন সম্ভব নয়। অধ্যাপক সিন, যিনি তার জীবনের বেশিরভাগ সময় পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, এবার দাবি করেছেন, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরে তার চেতনা মহাবিশ্বে থাকতে পারে না।
সায়েন্টিফিক অ্যামেরিকান জার্নালে ডক্টর ক্যারল ব্যাখ্যা করেছেন – ‘এমনটা দাবি করা হয়, দেহের মৃত্যুর পরে নাকি আমাদের চেতনা বা আত্মা কোনও না কোনও আকারে উপস্থিত থাকে। আমাদের দৈনন্দিন জীবন বোঝা যায় শুধুমাত্র পদার্থবিজ্ঞানের নিয়মের ভিত্তিতে। এই নিয়ম অনুসারে, এমন কোনও উপায় নেই যা মৃত্যুর পরে আমাদের মস্তিষ্কে উপস্থিত তথ্য ধরে রাখে।’
তিনি আরও বলেন, এগুলো পরমাণু এবং কিছু সুপরিচিত বৈজ্ঞানিক শক্তি। তবে স্পষ্টতই মৃত্যুর পরেও আত্মা বেঁচে থাকতে পারে, এমন কোনো উপায় নেই। এখনও পর্যন্ত সমস্ত বিজ্ঞানী শন এর এই মতামত গ্রহণ করতে সক্ষম হননি। তাঁর বলেছেন, মানুষের মস্তিষ্ক নিয়ে আরও বেশি অধ্যয়ন করা যেতে পারে।
যেহেতু ধর্মগ্রন্থে দেহের মতো আত্মা বা চেতনাকে নশ্বর বলে গণ্য করা হয়নি, তাই ডক্টর শিয়ানের এই দাবি বিতর্ক তৈরি করতে চলেছে। সাধারণত মনে করা হয়, দেহের মৃত্যুর পরেও আত্মা থাকে। বিভিন্ন বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে বলা যায়, একেক জায়গায় চেতনা বা আত্মা সম্পর্কে ভিন্ন মত রয়েছে। ডক্টর শন বলেছেন, তিনি ঈশ্বরে বিশ্বাস না করার মতো কিছু বলেন না। তবে তার সাফ কথা, তিনি বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থেকে সরবেন না। স্রেফ বিশ্বাসের উপর কোনও কিছু গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সূত্র: নিউজ ১৮।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন