লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে কৃষিতে যন্ত্রের ব্যবহার সহজ করতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে শুরু হয়েছে সমালয় পদ্ধতিতে চাষাবাদ। বিশেষ এ পদ্ধতিতে কৃষক, উৎপাদিত ধানের চারা যন্ত্রের মাধ্যমেই রোপন করবে এবং কাটা শেষে ফসল ঘরে তুলতে পারবে। জেলার কৃষি বিভাগ বলছে, এই পদ্ধতিতে শ্রমিক সংকট ছাড়াও নানা প্রতিবন্ধকতা দূর হবে। কমবে উৎপাদন খরচও।
শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার উত্তর চর লরেঞ্চ গ্রামে এ নতুন পদ্ধতিরে উদ্বোধন করেন, লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন্দ। কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ ইখতারুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোঃ জাকির হোসেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ, উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন বাপ্পী, সহকারি কমিশনার (ভূমি) পুষ্প পুদম চাকমা, কমলনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, সমাজ সেবক মাস্টার ফয়েজ আহমেদ প্রমুখ।
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক মোঃ আনোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, কৃষকদেরকে উন্নত প্রযুক্তির সাথে খাপখাইয়ে নিতে জেলা প্রসাশন সবসময় সহযোগিতা করবে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোঃ জাকির হোসেন তার বক্তব্যে জানান, সমালয়ে ধান চাষ পদ্ধতিতে বিস্তীর্ণ জমি একত্রিত করে একই সময়ে একই সঙ্গে আধুনিক যন্ত্রের মাধ্যমে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়ে থাকে। ট্রে ও পলিথিনে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় বীজতলা। চারা হতে সময় নিয়েছে সাত দিন। সেখান থেকেই বীজ নিয়ে বপন করা হয় ক্ষেতে। চলতি বোরো মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চর লরেঞ্চ গ্রামে ৬০ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে এমন সমালয় পদ্ধতিতে ধানের চাষাবাদ হচ্ছে।
সমালয় কর্মসূচির আওতায় জমিতে যন্ত্রের মাধ্যমে ধানের চারা রোপন থেকে কর্তন পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ হবে। এতে উৎপাদন খরচ কমার পাশাপাশি ধান চাষে লাভবান হবে কৃষক।
কৃষক হারুন বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে মাটিতে ধানের চারা রোপন করতে গিয়ে মাটি ভেঙে বীজতলা নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু সমালয়ে সে রকম কোন সম্ভাবনা নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন