ভাঙ্গা কয়রা মশকুল কোরআন মাদরাসা মাঠের মাটি কেটে বিক্রি করছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র এমন অভিযোগ মাদরাসার সুপার/প্রিন্সিপাল মাওলানা মোর্শেদ আলমের। তিনি বলেন, আমি একটা চিল্লায় আসছি এ সুযোগে মাদরাসার ঐতিহ্য শেষ করে দিয়েছে। এখন পুরো মাদরাসার ভবন, টিউবওয়েল ঝ্ুঁকিতে। মাটি কেটে নেওয়া আ. গফুর হাওলাদার বলেন, আমি আমার জায়গার মাটি কেটে অন্য জায়গা ভরছি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মাদরাসার মাটি এলাকায় চলমান রেল প্রকল্পের লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। আজিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দিয়েছি। গফুরকে মাটি না কাটার জন্য অনুরোধ করেছি।
শান্তি ইসলাম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. এনায়েত হোসেন মুন্সি বলেন, মাদরাসার মাটি জোরপূর্বক কেটে গভীর খাদ তৈরি করায় ৫০ বছর আগের কওমি মাদরাসাটির দুটি বিল্ডিং ভবন ও একটি টিনসেট ভবন প্রচণ্ড ঝুঁকিতে আছে। সাথে একমাত্র গভীর নলকূপটি রয়েছে ভয়াবহ ঝুঁকিতে। আগামী বর্ষা মৌসুমে মাদরাসার ভবন ও একমাত্র গভীর নলকূপটি ক্ষতির মুখে পড়বে। এতে কোন সন্দেহ নাই।
মশকুল কুরআন কয়রা মাদরাসার সভাপতি মো. কালাম হাজী জানান, টিউবওয়েলের পাশ থেকে গভীর খাত করে মাটি কাটায় প্রচণ্ড ঝুঁকিতে আছে নলকূপটি। কাজটি কোন মতে ঠিক হয়নি। এখান থেকে প্রায় ২০-২৫ গাড়ি মাটি কেটে বিক্রি করছে বলে আমি জেনেছি। কোথায় বিক্রি করছে জানি না। মাদরাসার মাঠের মাটি কাটতে নিষেধ করছি তারা আমার কথা শোনেনি। গত শুক্রবার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খবর শুনে এসে আমাকে ডাকেন এবং পিতা-পুত্রকে মাটি কাটতে নিষেধ করা হয়। এ ঘটনায় ফ্ুঁসে উঠেছে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকরা।
উল্লেখ্য, মাদরাসাটিতে ৫ জন শিক্ষক এবং প্রায় ১০০ ছাত্র- ছাত্রী রয়েছেন। ইসলামি শিক্ষায় পুরো এলাকাকে আলোকিত করে তুলছেন তারা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন