অর্থনৈতিক রিপোর্টার : ২০২১ সাল নাগাদ চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি, বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) গতকাল সন্ধ্যায় চতুর্থবারের মতো আয়োজিত লেদারটেক বাংলাদেশ ২০১৬-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২০২১ সালে আমরা ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্প থেকে রপ্তানি হবে ৫০ বিলিয়ন ডলার। আর চামড়া ও চামড়াজাত শিল্প থেকে রপ্তানি হবে ৫ বিলিয়ন ডলার। আইসিসিবি’র ৩, ৪ এবং ৫ নম্বর হলে গতকাল থেকে বাংলাদেশের চামড়া, চামড়াজাত পণ্য এবং পাদুকা শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, কম্পোনেন্ট, ক্যামিকেল এবং অ্যাকসেসরিজ প্রদর্শনী ‘লেদারটেক বাংলাদেশ ২০১৬’ শুরু হয়েছে। শেষ হবে ৫ নভেম্বর। মেলা প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে চামড়া শিল্প থেকে আমাদের রপ্তানি আয় ১ দশমিক ১৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এটাকে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে যা যা করা দরকার সবকিছু করবে সরকার। বর্তমানে চামড়াজাত দ্রব্যাদি রপ্তানি খাতে ১৫ শতাংশ হারে নগদ আর্থিক প্রণোদনা প্রদান এবং সাভারে চামড়া শিল্প নগরীতে স্থানান্তরিত শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রাস্ট ও ফিনিশড লেদার রপ্তানির বিপরীতে ৫ শতাংশ হারে রপ্তানি ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে।
আস্ক ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশন্স প্রাইভেট লিমিটেডের আয়োজনে তিন দিনব্যাপী প্রদর্শনীতে বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশ- ভারত, চীন, কোরিয়া, তুরস্ক, মিশর, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, শ্রীলঙ্কা, ইতালি, জার্মানি, সিঙ্গাপুর, জাপান, তাইওয়ান এবং হংকংয়ের মোট ২৫০ টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করবে। স্থানীয় শিল্পের দোরগোড়ায় বিশ্বের সর্বাধুনিক ট্যানিং লেদার, ম্যানুফ্যাকচারিং ফুটওয়্যার, চামড়াজাত পণ্য ও এ সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি উপস্থাপন করতেই মূলত এ প্রদর্শনী। এতে অংশগ্রহণকারী প্যাভিলিয়নগুলোর একটি বড় অংশজুড়ে থাকবে ভারত ও চীনের বিভিন্ন কোম্পানি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েতুল্লাহ আল মামুন বলেন, চামড়া শিল্প বিকাশমান একটি খাত। এটি ভবিষ্যতে আরো বিকশিত হবে। কারণ, আমাদের সে ধরনের সক্ষমতা আছে। চামড়া শিল্পে নির্ধারিত কর কাঠামোতে কোন ধরনের অসামঞ্জস্য থাকলে তা বাস্তবভিত্তিক করা হবে। প্রদর্শনীর অন্যতম পৃষ্ঠপোষক লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এমডি সাইফুল ইসলাম বলেন, ২০১৩ সালে প্রথম লেদারটেক এক্সপোতে ৮ টি দেশের ৯০ টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করেছিল। এবারের আয়োজনে ১৫ টি দেশের ২৫০ টি কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রার অব এক্সিলেন্স ফর লেদার স্কিল বাংলাদেশের চেয়ারম্যান (সিওইএল) সাঈদ নাসিম মঞ্জুর, ইন্ডিয়ান ফুটওয়্যার কম্পোনেন্ট ম্যানুফেকচারার অ্যাসোসিয়েশনের (আইএফসিওএমএ) প্রেডিসেন্ট বিপিন শেঠ, বাংলাদেশ পাদুকা প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি শাখাওয়াত হোসাইন বেলাল, বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহিন আহমেদ মাহিন, বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার এবং লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলইএফএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহীন, এএসকে ট্রেড অ্যান্ড এক্সিবিশিনের ডিরেক্টর নন্দ গোপাল কে এবং টিপু সুলতান ভূঁইয়া।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন