স্টাফ রিপোর্টার : প্রখ্যাত কথাশিল্পী অধ্যাপক শাহেদ আলীর ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী। মরহুম শাহেদ আলী ১৯৫২ সালের ২৮ মে বৃহত্তর সিলেট বর্তমান সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নের পর ১৯৫০ সালে তিনি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রিী লাভ করেন। কিশোর বয়স থেকেই তাঁর সাহিত্য জীবনের শুরু। মাসিক সওগাত পত্রিকায় যখন তাঁর প্রথম গল্প “অশ্রæ” প্রকাশিত হয় তখন তিনি অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র। এ সময়ই তিনি রসূল করিম (সা.) সম্পর্কে “মানবতার আদর্শ” শীর্ষক একটি প্রবন্ধ রচনা করেও সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। একজন সচেতন তরুণ হিসেবে তিনি স্কুল জীবন থেকেই ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৪০ সালে ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব পাশের পর তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। কলেজ জীবনে সিলেট থেকে প্রকাশিত আসাম মুসলিম ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র “প্রভাতী”র সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর তিনি ঢাকায় এসে ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসে যোগদান করেন। একজন প্রথম সারির কথাশিল্পী ছাড়াও প্রবন্ধকার ও অনুবাদক হিসেবেও তিনি কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখেন। তাঁর প্রকাশিত বাংলা ও ইংরেজি গ্রন্থ সংখ্যা অর্ধ শতাধিক। এখনো তার বহুগ্রন্থ অমুদ্রিত ও অপ্রকাশিত রয়েছে। তাঁর বহুগল্প ইংরেজি, উর্দু ও রুশ ভাষায় অনুদিত হয়েছে। সাহিত্য ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি, একুশে পদক, নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদকসহ বহু পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৬১ সালে মণীষী আবুল হাশিমের সহকর্মী হিসেবে ইসলামিক একাডেমিতে যোগদান করেন। এই একাডেমি পরবর্তীকালে ইসলামিক ফাউন্ডেশনে পরিণত হলে এর অনুবাদ ও সংরক্ষণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে তিনি ফাউন্ডেশন থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ২০০১ সালে ৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় ইন্তেকাল করেন। ভাষা আন্দোলনের স্থপতি সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের উদ্যোগে অধ্যাপক শাহেদ আলী স্মরণে হামদ-নাত, আবৃত্তি, ছোটগল্প পাঠ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টায় মালিবাগ হোসাফ শপিং কমপ্লেক্সে, এ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন