পারিবারিক কলহের জের ধরে রংপুরের পীরগাছায় রনি নামের এক যুবক ফেসবুক লাইভে এসে বিষ পান করেছেন। মুমুর্ষ অবস্থায় তাকে রংপুর ম্যাডিকেল নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। আত্মহত্যার পিছনে তিনি স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রাকে দায়ী করেছেন। আর এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে।
জানা গেছে, রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের মৃত তৈয়ব মিয়ার ছেলে রনি প্রায় ৪ বছর আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের জনৈক বাদল মিয়ার মেয়ে শামিমা ইয়াসমিন সাথীকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। ৪/৫দিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হলে স্ত্রী তার সন্তানকে নিয়ে চাচার বাড়ি চলে যায়। গত শনিবার সকালে রনি স্ত্রী ও সন্তানকে আনতে সেখানে গেলে তার স্ত্রী সাথী দেনমোহরের ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এবং উক্ত টাকা না দিলে তার সাথে আসতে অস্বীকৃতি জানান। এসময় সাথী তাদের সন্তানকেও বাবার সাথে দেখা করতে দেননি। অনেক চেষ্টা করেও স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে আসতে না পেরে নিজ বাড়িতে ফিরে এসে ফেসবুক লাইভে আসেন রনি। লাইভে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী তার চাচা মুকুল মিয়ার বাড়িতে চলে যায়। আমি আনতে গেলে তারা আমার নিকট দেনমোহরের পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন। আমি এখন ফেসবুক লাইভে এসে বিষপানে আত্মহত্যা করবো। আমার মৃত্যুর জন্য আমার স্ত্রী, শ্বশুর, চাচা শ্বশুর ও ভায়রা এমদাদুল হক দায়ী। এ কথা বলে বোতলের মুখ খুলে বিষপান করেন রনি। এসময় তার সঙ্গে এক কিশোরকে দেখা গেলেও তার পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার পর তাকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত রোববার সকালে রনির মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে পীরগাছা থানার ওসি জানিয়েছেন, নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এলাকায় সমালোচনা ঝড় বয়ে চলেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন