বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

১২ থেকে ১৭ বছরের শিশুরা নথি ছাড়াই টিকা পাবে

অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আফ্রিকার দেশগুলোতে যেখানে মাত্র ১২ শতাংশ মানুষ টিকা পেয়েছে, সেখানে আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠীর ৮৫ শতাংশই টিকার আওতায় চলে এসেছে।

গতকাল রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ১৭ কোটি ডোজ টিকা আমরা দিতে পেরেছি। এদিকে দেশের ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুরা এখন থেকে কোনো প্রকার নথি ছাড়াই করোনাভাইরাসের টিকা নিতে পারবেন। অর্থাৎ, টিকা নিতে তাদের জন্মনিবন্ধন বা অন্য কোনো নথি দেখাতে হবে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, শিশুরা টিকাকেন্দ্রে গেলে কিছু প্রয়োজনীয় কিছু তথ্য নিয়ে সেখানে তাদের টিকা দেয়া হবে। বাড়তি কোনো কাগজ নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হবে না।

জাহিদ মালেক বলেন, টিকার জন্য আমাদের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী ১১ কোটি ৫৫ লাখ, তাদের মধ্যে প্রায় ৮৫ শতাংশকেই আমরা টিকার আওতায় আনতে পেরেছি। আমাদের হাতে এখনও মজুদ আছে দশ কোটি টিকা। এরপরও বেশকিছু লোক এখনও টিকা নেয়নি। তাদের মধ্যে অনীহা আছে। আমি আহ্বান করব, এখনও যারা টিকা নেননি, তারা দ্রুত টিকা নিয়ে নিন। জাহিদ মালেক বলেন, করোনার সময়ে আমাদের চিকিৎসক-নার্সরা দিনরাত পরিশ্রম করেছেন, এখনও করে যাচ্ছেন। চিকিৎসক-নার্সসহ অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে আমরা হারিয়েছি। শুধু তারা নিজেরাই নয়, তাদের পরিবারের সদস্যরাও আক্রান্ত হয়েছেন, প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই, রুহের মাগফেরাত কামনা করি। তারা এ ক্রান্তিলগ্নে যেভাবে সেবা দিয়েছেন, তাদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সবসময় শ্রদ্ধা থাকবে।

জাহিদ মালেক বলেন, স্বাস্থ্য খাতকে ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সব কাজ এগিয়ে চলছে। শিগগিরই অনুমোদনও হয়ে যাবে। আমরা প্রতিটি জেলা হাসপাতালে ১০টি করে ডায়ালাইসিস, ১০টি করে আইসিইউ যোগ করছি। সবমিলিয়ে জেলা হাসপাতালগুলোতে নতুন করে সাড়ে ছয়শ করে আইসিইউ ও সাড়ে ৬শ’ করে ডায়ালাইসিস চালু হবে। মন্ত্রী বলেন, করোনাকালেই আমরা ৪০ হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছি। মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালগুলো আমরা সার্বক্ষণিকভাবে চালু রেখেছি। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ হলেও মেডিকেল কলেজগুলোতে আমরা বন্ধ করিনি। করোনা চিকিৎসায় এক মাসে এক হাজার বেডের হাসপাতাল তৈরি করেছি, যেখানে ২৫০টি আইসিইউ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে যা কিছু উন্নয়ন হয়েছে, সব শেখ হাসিনার উদ্যোগে হয়েছে। স্বাস্থ্য খাতে যত উন্নয়ন দেখতে পাচ্ছি, করোনা নিয়ন্ত্রণে সফলতা, টিকা ও চিকিৎসায় সফলতা, সব তার নির্দেশনা আর সহযোগিতায় করতে সক্ষম হয়েছি। জাহিদ মালেক বলেন, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও বেশ কয়েকটি নতুন সেবা আমরা উদ্বোধন করতে পেরেছি। অনেক চিকিৎসা দিয়েছে এ হাসপাতাল। ১ হাজার ৩৫০ বেডের এ হাসপাতালে দেড়শ করোনার শয্যা আছে। এখানে করোনার চিকিৎসাও হচ্ছে, পাশাপাশি নন-করোনা রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমি যখন প্রতিমন্ত্রী ছিলাম, তখন একবার এই হাসপাতালে এসেছিলাম। সে সময় হাসপাতালটিতে খুবই খারাপ অবস্থা ছিল। এখন উর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণসহ বেশ উন্নতি হয়েছে। ৮০০ শয্যা থেকে সাড়ে ১৩শ’ শয্যায় উন্নীত হয়েছে হাসপাতালটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক প্রশাসন প্রফেসর ডা. শামিউল ইসলাম, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন