করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ফরিদপুরের সালথায় মদন হাজীর মেলা বন্ধ করেছেন সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ তাসলিমা আকতার।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফ্রেব্রুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের খলিশপট্টিতে মদন হাজীর মেলা প্রাঙ্গনে গিয়ে তিনি এ ঘোষণা দেন। এসময় মেলায় আগত দর্শনার্থীদের স্থান ত্যাগ ও দোকানীদের দোকানপাট বন্ধ করতে এ সময় বেঁধে দেন।
মেলায় আগত দর্শনার্থী ও দোকানীদের উদ্দ্যেশ্যে উপজেলা নির্বাহী বলেন, অযথা কেউ মেলা চত্বরে ঘুরাঘুরি করবেন না। দেশে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, তাই সবাই মেলার প্রাঙ্গন ত্যাগ করেন। পাশাপাশি সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।
উল্লেখ্য, দেশের করেনার ভয়বহতার কথা চিন্তা করে, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ গতকাল
বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি),, রাতে মাইকিং করেন এবং মেলা বন্ধ করার ঘোষনা দি্লেও মেলা পরিচালক পীড়ের ছেলে, পলাশ গংরা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে তাদের নিজ ক্ষমতা বলে মেলা চলমান রাখেন। এ অভিযোগ এলাকারবাসীর। পাশা-পাশি এলাকাবাসী এ কথাও বলছেন,
আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে সেখানে পুলিশের লোকও উপস্হিতি ছিলেন। মেলায় আগত জনৈক আওয়ামীলীগের প্রবীন কর্মী জনাব, পলাশ মুন্সি গনমাধ্যম কে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্হিতিতেই তো গত বুধবার, দুপুর থেকেই মদন হাজীর বাড়ীর সামনে মেলা শুরু হয়।
করোনার কথা চিন্তা করে, সালথার ওসি সাহেব গত বুধবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে গিয়ে মাইকিং করে মেলা বন্ধের অনুরোধ করেন। ওখানে ওসির নির্দেশ কেউ মানেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছাঃ তাসলিমা আকতার গনমাধ্যম কে, বলেন, আমি মেলা খবর পেয়ে সাথে সাথে ওসি সালথাকে অবগত করি। ওসি এসে মেলা ভেঙ্গে দেওয়ার জন্য বলে। পরবর্তীতে আমি নিজে উপস্থিত থেকে দোকান বন্ধ করিয়েছি।
প্রশ্ন উঠছে, যারা প্রশাসনের আদেশ অমান্য করে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে মেলার আয়োজন করলেন, তাদের বিষয় আইনগত ব্যবস্হা কি হবে?
এ বিষয়, সালথা থানার অফিসার ইনচার্জ গনমাধ্যম কে বলেন, আসলে ওখানে কোন মেলা কমিটি নাই। তবে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্বে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্হা গ্রহন করা হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন