চট্টগ্রাম ব্যুরো : সংঘবদ্ধ মোটরসাইকেল চোরচক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগরীর চান্দগাঁও থানা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ৫টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে আরও অন্তত ১০০টি চুরি করা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র।
পুলিশ বলছে, এই চক্রটি নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে গ্রামের দুটি গ্যারেজে নিয়ে যায়। সেখানে নকল কাগজপত্র তৈরী করে এসব মোটরসাইকেল তারা বিক্রি করে। এই চক্রের বাকি সদস্যদের ধরতে অভিযান চলছে। গতকাল (শুক্রবার) ভোর পর্যন্ত মহানগরী ও জেলায় এ অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানান চান্দগাঁও থানার ওসি আবু মো. শাহজাহান কবির। গ্রেফতারকৃতরা হলো, মোহসেন চৌধুরী সাদ্দাম (২৪), মো. শাকিল (২৪), মো. মহিউদ্দিন (২৩), মো. ইকবাল (২৫) এবং মো.আমির হোসেন (২৮)।
ওসি জানান, নগরীর এককিলোমিটার এলাকার নুরনগর হাউজিং প্রবেশ গেইটের সামনে রাস্তার চোরাই মোটর সাইকেল ক্রয় বিক্রয়কালে ২টি পালসার ও ১টি ডিসকভার মোটর সাইকেল প্রথমে সাদ্দাম, মোঃ শাকিল ও মহিউদ্দিনকে আটক করা হয়। তাদের নিয়ে ফের অভিযানে নামে পুলিশ। ভোরে চান্দগাঁও থানাধীন চান্দগাঁও আবাসিক, বি-বøক ৪নং রোডের পশ্চিম মাথায় পূর্ব ফরিদারপাড়া ব্রিজের উপর থেকে ১টি হিরো স্পিলিন্ডার ও ১টি পাওয়ার ঈগল মোটর সাইকেলসহ আমির হোসেন ও ইকবালকে গ্রেফতার করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফটিকছড়ি থানাধীন আজাদী বাজারস্থ আমির হোসেনের হোন্ডা গ্যারেজ থেকে উদ্ধার করা হয় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা হইতে চোরাই যাওয়া মোটর সাইকেল এর শতাধিক রেজিঃ সনদ, ট্যাক্স টোকেন ও মোটর সাইকেল ক্রয়-বিক্রয়ের দলিল।
তাদের জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটর সাইকেল চুরির চাঞ্চল্যকর তথ্য। জিজ্ঞাসাবাদে মহিউদ্দিন জানায়, সাদ্দামের নেতৃত্বে সে ও শাকিল, হাটহাজারী মাদার্শা এলাকার রুবেল, লোহাগাড়ার বাবুল ও ইকবালসহ তাদের চোরাই সিন্ডিকেট চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিকল্প চাবি ব্যবহার করে মোটরসাইকেল চুরি করে।
তারা কখনও ছাত্র বেশে, কখনও ডিজে পার্টির সদস্য, কখনও বিয়ের বর যাত্রী সেজে ঘোরাফেরা করে আর সুযোগ বুঝে রাস্তার পাশে পার্কিং করা মোটর সাইকেল চুরি করে ফটিকছড়ির আমির এবং বোয়ালখালীর আনোয়ারের নিকট জমা দেয়। আমির ফটিকছড়ি আজাদী বাজার তার হোন্ডা গ্যারেজে চোরাই মোটর সাইকেলের বিভিন্ন পার্টস পরিবর্তন ও রং পরিবর্তন করে ভিন্ন রেজিঃ নাম্বার ব্যবহার করে পরবর্তীতে ডুপ্লিকেট কাগজপত্র ব্যবহার করে বিক্রি করে।
গ্রেফতারকৃত মহিউদ্দিন আরও জানায়, সে নিজেই ১৪টি মোটর সাইকেল আমিরের হোন্ডা গ্যারেজে এসেছে। পুলিশ আশাবাদী এচক্রের মাধ্যমে শতাধিক মোটরসাইকেল চুরির মামলার তদন্ত শেষ করা যাবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন