কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার গত ১৩ ফেব্রুয়ারি রোববার ভোর রাতে দাঁতভাঙ্গা সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে ফরিদুল ইসলাম (২২) নামের এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়।
আজ শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ৫ দিন পেরিয়ে ৬ দিন হয়ে গেলেও নিহতের পরিবারের কাছে লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম অসম টুডের প্রকাশিত সংবাদে দেখা গেছে, বুধবার রাতে ভারতের আসাম রাজ্যের হাটশিংমারী এলাকার দাফাদার পাড়ার কবর স্থানে স্থানীয় মুসলীদের দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফরিদুলের লাশ বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন সম্পন্ন করে। এসময় হাটশিংমারী জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিএসএফ, পুলিশের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য শাজাহান আলী বলেন, ভিডিও চিত্র দেখেছি ফরিদুলের লাশ ভারতের কবর স্থানে দাফন করছে।
৩৫ বিজিবির জামালপুর ব্যাটালিয়নের
দাঁতভাঙ্গা বিওপির সুবেদার মো. আনছার আলী বলেন , এ বিষয়ে ভারতীয় বিএসএফ আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। আমরাও কিছুই জানি না।
উল্লেখ্য, গত রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের পূর্বকাউয়ারচর সীমান্তের আর্ন্তজাতিক ১০৫৭ নং মেইন পিলারের ৩-এস-টি সাব পিলারের কাছে ভারতীয় গরু বাঁশের তৈরি আড়কি দিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার ওপর দিয়ে পারাপারের সময় বিএসএফের গুলিতে নিহত হয় ফরিদুল।
নিহত ফরিদুল দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণ ধরা গ্রামের মৃত মুজিবুর রহমান ছেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন