প্রশ্নের বিবরণ : আমরা জানি যে, ইসলাম ধর্মে জন্মদিন পালন করার বিধান নেই। কিন্তু কেউ যদি অন্য ধর্মের অনুকরণে জন্মদিন উদযাপন (কেক কাটা, নাচ-গান) না করে এমনটা করে যে, সে এই দিনে পৃথিবীতে এসেছে এই শোকরিয়া আদায়ের জন্য ওই দিন রোজা রাখে এবং রাতে পরিবারের সদস্যদের জন্য ভালো খাবারের আয়োজন করে-এমনটা করা যাবে কি?
উত্তর : এমনটা তখনই করা যাবে, যখন এটি অন্য ধর্মের অনুষ্ঠান বলে প্রতিস্থাপন করা না হবে। যদি হয়, তাহলে নিজেদের কায়দায় তাদের অনুষ্ঠানটিই পালন করা হলো। যা নিষেধের আওতায় পরে। তা ছাড়া এটাকে ইবাদতের বা সওয়াবের নতুন একটি পদ্ধতি বানিয়ে নিলে এটি হবে বিদআ’ত ও গোমরাহী। সবদিক বিবেচনা করে নিয়ত ঠিক রেখে রোজা রাখা ও উত্তম খানা পরিবারকে খাওয়ানো যেতে পারে। তবে, বিধর্মীদের অনুসরণ ও নতুন প্রকারের বিদআ’তের আশংকা থাকায় এদিন না করাই উত্তম। নিজের জন্মদিনে রোজা রাখা ইসলামে শরীয়তে নেই। নবী করিম (সা.) নিজের জন্মবার সোমবারে জীবনের প্রায় প্রতি সোমবারেই রোজা রেখেছেন। তাঁর অনুসারী সাহাবীগণ এটিকে সুন্নাত মনে করে সোমবার রোজা রেখেছেন বটে, তবে নিজের জন্মবারে রাখেন নি। আর নবী করিমও (সা.) বছরে একদিন জন্মদিনের সোমবারে রোজা রাখেন নি। সুতরাং নিজের জন্মদিনে রোজা রাখা সুন্নাত তো নয়ই বরং বিদআ’ত হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ। সবকিছু বুঝে শুনে ওদিন কেউ রোজা রাখলে তাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, সে কেন রোজাটি রাখলো।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতওয়া বিশ্বকোষ।
প্রশ্ন পাঠাতে নিচের ইমেইল ব্যবহার করুন।
inqilabqna@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন