কানাডার রাজধানী অটোয়ায় বিক্ষোভরত কোভিড টিকাবিরোধীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হয়েছে। তিন সপ্তাহ ধরে চলমান বিক্ষোভ পুরোপুরি দমনে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দেশটির পুলিশ। এরই মধ্যে অন্তত শতাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে। বিক্ষোভ দমনে কানাডা সরকার জরুরি আইন জারি করার পর ঘোড়াসওয়ার কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ সঙ্গে শুক্রবার ধরপাকড় অভিযান শুরু হয়। পুলিশি অভিযানের সময় কিছু প্রতিবাদকারী প্রতিরোধ করার চেষ্টা করেন। এ সময় পুলিশ তাঁদের মাটিতে ফেলে দেয় এবং তাঁদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। পুলিশের অভিযোগ- বিক্ষোভকারীরা নিজেদের বাঁচাতে শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এদিকে, বিক্ষোভকারীদের একটি অংশ নির্দেশ অমান্য করে শহরে রয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ফুটেজে দেখা গেছে, পার্লামেন্ট হিলের পাশে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থলের দিকে শত শত পুলিশ অগ্রসর হচ্ছে। কিছু প্রতিবাদকারী পুলিশের সামনে হাতে হাত ধরে কানাডার জাতীয় সংগীত গাইতে থাকেন। অটোয়া পুলিশ শহরের বড় ব্যবসায়িক ও আবাসিক এলাকাসহ বিক্ষোভের কেন্দ্রেস্থলের আশপাশে প্রায় ১০০টি তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে অটোয়া পুলিশ টুইটবার্তায় লিখেছে, ‘বিক্ষোভকারীরা : আপনাদের অবশ্যই চলে যেতে হবে। বেআইনি প্রতিবাদ এলাকার মধ্যে থাকা যে কাউকে আটক করা হতে পারে।’ খবরে বলা হয়, চলমান বিক্ষোভ দমাতে জরুরি অবস্থা জারি করে প্রশাসন। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের তুলে দিতে কঠোর অবস্থানে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। একপর্যায়ে কিছু বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের হাতাহাতি হয়। কেউকে রাস্তায় ফেলে হাতকড়া পড়াতে দেখা যায়। দেশটিতে কোভিড নীতির বিরুদ্ধে গত তিন সপ্তাহ ধরে চলা এই বিক্ষোভ অবসানে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চালানোর জন্য শত শত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এ সময় পুলিশ একশর বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার এবং প্রায় ২০টি গাড়ি আটক করে। বিক্ষোভের নেতাদের অধিকাংশকেই আটক করা হয়েছে। অভিযানে হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন অটোয়ার অন্তর্বর্তী পুলিশ প্রধান স্টিভ বেল। উল্লেখ্য, কোভিড ১৯ মোকাবেলায় টিকাদান সংক্রান্ত সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কানাডায় গত তিন সপ্তাহ ধরে ট্রাক চালকদের নেতৃত্বে ‘ফিডম কনভয়’ নামে বিক্ষোভ চলছিল। বিবিসি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন