বগুড়ায় বিভিন্ন মাদরাসা প্রধানদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজি কে.এম. রুহুল আমীন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের ৩০ মার্চ ঢাকা আলিয়া মাদরাসা চত্বরে মাদরাসা শিক্ষকদের এক সম্মেলনে যোগ দিয়ে বলেছিলেন, মসজিদ ও মক্তবই হবে শিক্ষার মূল ভিত্তি। এতেই ইসলামের প্রতি তাঁর অনুরাগ ফুটে ওঠে।
ডিজি বলেন, এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ইসলামী ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা ও তাবলীগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ মসজিদে ৫৮ শতাংশ জায়গা বরাদ্দ দিয়েছিলেন। পরবর্তিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও সেখানে আরও এক একর ১৯ শতাংশ জায়গা দিয়েছেন । তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ছাড়াও মাদরাসা শিক্ষকদের জন্য বৈশাখী ভাতা চালুসহ প্রায় সব দাবি দাওয়া পুরণ করেছেন। অচিরেই বিভিন্ন প্রয়োজনে রাজধানীমুখি হওয়ার সমস্যা থেকে মাদরাসা শিক্ষকদের বাঁচাতে প্রত্যেক বিভাগে একটি করে ডিডি অফিস প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এছাড়া ৩শ সংসদীয় আসনে ৬টি করে সারাদেশে মোট ১৮শ মাদরাসায় একটি করে চারতলা ভবন নির্মাণ করে দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গতকাল শনিবার দুপুরে বগুড়ার ঐতিহ্যবাহী সরকারি মোস্তাফাবিয়া আলিয়া মাদরাসা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. মোখলেছুর রহমান। সভায় বক্তব্য রাখেন জমিয়াতুল মোদার্রেসিন বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি অধ্যক্ষ মাও. আব্দুল হাই বারী, মাদরাসা সহকারি অধ্যাপক আব্দুল জলীল, সহকারি অধ্যাপক মোফাচ্ছের আলী প্রমুখ। সভা শুরুর পূর্বে বগুড়া জেলা জমিয়াতুল মোদার্রেসিন নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও পুষ্পমাল্য দিয়ে ডিজিকে শুভেচ্ছা জানানো হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন