খ্রিস্টসনের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারি কেবল আমাদের ভাষার মাস নয়। এখন মাসটির ২১ তারিখ গোটা দুনিয়ার মানুষের আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। দিনটি এখন গোটা বিশ্বের হলেও ভিত্তিটা আমাদেরই। ১৯৫২ এর ২১ আর ২০২২ এর ২১। সময়ের ব্যবধান অনেক। প্রেক্ষিতও ভিন্ন। তবে লক্ষ্য-চেতনা অভিন্ন। বলার অপেক্ষা রাখে না, ভাষার সঙ্গে থাকে শ্রেণির সম্পর্ক। আর ভাষা আন্দোলনের ছিল শ্রেণিবৈশিষ্ট্য। সঙ্গতভাবেই ভাষা আন্দোলনে একাত্ম হয়ে পড়ে বাংলার কৃষক সমাজ। নইলে আন্দোলনটিতে এতো জনসম্পৃক্ততা ঘটতো না। ৫২-তে ভাষা প্রতিষ্ঠা হতো না। ১৯৫৪’র নির্বাচনে যুক্তফ্রন্টের ভূমিধ্বস জয়ও আসতো না। ভাষাকে ইস্যু করা হলেও ৫২’র আন্দোলনটা ক্রমশ মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধেই চলে যায়। বাঙালির অপরিসীম শক্তি এক হয়ে সেদিন এক অসম্ভবকে সম্ভব করেছিল। ২১-এর অন্যতম রাজনৈতিক শিক্ষা এটি।
৫২-এর আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রক্ষমতাকে বিচূর্ণ করে জনগণ এক রূপান্তর চেয়েছিল। তখন বাঙালির মধ্যে যে জাতীয়তাবাদী চেতনার স্ফুরণ ঘটেছিল, তা ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পরে আর থাকেনি। যুদ্ধ শেষে চাপা পড়ে গিয়েছে সামাজিক বিপ্লবের স্বপ্ন। ভাষা ও স্বাধীনতা আন্দোলনের স্মৃতি শোষণ-নির্যাতনের বিরুদ্ধে চেতনায় টোকা দিলেও ন্যায্য আন্দোলনও এখন আর মানুষকে দাবি আদায়ের সংগ্রামে উজ্জীবিত করে না। ৫২-এর ২১ আর ২২-এর ২১-এর তফাৎ সেখানেই। ৭১-এর ২৬ আর ২২-এর ২৬-এর ফারাকও এমনই। ৫২-তে পাকিস্তান সরকার আন্দোলন দমাতে ১৪৪ ধারা জারির মাধ্যমে জনসমাগম, জনসভা ও মিছিল নিষিদ্ধ করে দেয়। ছাত্ররা সংগঠিতভাবে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করলে পুলিশ গুলি চালায়। শহিদ হন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকতসহ আরও অনেকে। তারপর সারা রাত জেগে শহিদদের স্মরণে গড়া হয় শহিদ মিনার। পুলিশ তা ভেঙে ফেললে আবারও গড়ে ওঠে শহিদ মিনার। আজকের বাস্তবতায় অবশ্য ডজনে-ডজন সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, মিলন, নূর হোসেন, জেহাদসহ আলোচিত কোনো হত্যায় কেউ মরলেও তেমন কিছু যায়-আসে না। এই বাস্তবতার মর্মার্থ বুঝতে হবে সবার আগে রাজনীতিকদেরই। ফেব্রুয়ারি এলে মাতৃভাষার প্রতি আমাদের দরদ বাড়ে, এটা বাস্তবতা। স্মরণ করি সেই সব অকুতোভয় সংগ্রামীকে। কিন্তু, চেতনা ও বাস্তবতার রকমফের বুঝি না। বোঝার পর্বে যানও না কেউ। রক্তের বিনিময়ে পাওয়া ভাষার মর্যাদাই বা কতোটা দেয়া হচ্ছে? বিদেশি ভাষার আগ্রাসন, ইংরেজি-বাংলা মিশিয়ে বিকৃত-জগাখিচুড়ি শব্দ প্রয়োগে বাংলা ভাষাকে যে অনিশ্চিত গন্তব্যের দিকে খেদানো হচ্ছে, সেটাই বা উপলব্ধিতে আসছে ক’জনের?
বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষা, উপভাষা, শহুরে ভাষার মিশ্রণে বাংলার প্রমিত রূপও আর না থাকার পর্যায়ে। বাংলাদেশের ৭২-এর মূল সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা বাংলা। সর্বস্তরে বিশেষ করে সরকারি কাজে বাংলা ভাষা ব্যবহারের জন্য ১৯৮১ সালে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি বাংলা ভাষা বাস্তবায়ন কোষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।
১৯৯৯ সালের নভেম্বরে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি দেয়া হয়। ২০০০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ইউনেস্কো মহাসচিব কোইচিরো মাতসুয়ারা ১৮৮ দেশের কাছে চিঠি দিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসটি পালনের আহ্বান জানান। এরপর থেকে নিজ নিজ ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একুশে ফেব্রুয়ারি সারাবিশ্বে পালন হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে।
গর্ব করার মতো এই দিবস উপলক্ষে আমাদের দেশে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ফেব্রুয়ারিতে প্রতিবছর বিশাল আয়োজনে ২১-এর গ্রন্থমেলার উদাহরণও বিশ্বসেরা। তাছাড়া ঢাকার বাইরেও বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সময় বইমেলা বসে। এবার অবশ্য মহামারির কারণে এক ভিন্ন পরিবেশে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা বসছে। প্রতিবছর এই বইমেলাকে দেশের সব শ্রেণির ও পেশার মানুষ আপন করে নেয়। যারা বই কেনেন না বা নিয়মিত পড়েন না, তারাও বইমেলায় আসেন। এটি আমাদের সংস্কৃতিতে যে স্থান করে নিয়েছে তা খুব কম দেশের বইমেলাই করতে পেরেছে। পৃথিবীর ইতিহাসে জার্মানির বিখ্যাত ফ্রাঙ্কফুর্টের বইমেলা মূলত প্রকাশকদের মেলা। আমাদের আশপাশের দেশগুলোর বইমেলাও বসে প্রধানত প্রকাশক ও পাঠকদের নিয়ে। কিন্তু আমাদের বইমেলায় অংশ নেন প্রকাশক-পাঠক-সংস্কৃতিকর্মী-সহ সর্বস্তরের মানুষ। পৃথিবীর অন্য কোনো বইমেলা সংস্কৃতির এতবড় সমাবেশ ঘটাতে পারে না।
মাতৃভাষাকে গবেষকরা বলেন, মানুষের দ্বিতীয় আত্মা। এই দ্বিতীয় আত্মার স্বাভাবিক-সাবলীল গতি নষ্ট করার অপতৎপরতা চলে আসছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আঙ্গিকে। কিন্তু আমাদের মধ্যে তা রুখে দাঁড়ানোর চেতনা তুলনামূলক দুর্বল। আমরা নড়েচড়ে ওঠি এমন অপতৎপরতা চরমে যাওয়ার পর। এক সময় সংস্কৃত ভাবধারায় বাংলা লেখা ও বলার চেষ্টা চলেছে। এতে বাংলা যখন কঠিন, দুর্বোধ্য হয়ে ওঠে তখন আমরা গায়ে মেখেছি। পরবর্তীতে শুরু হয় আরবি-ফার্সি শব্দ মিশিয়ে বাংলা লেখার প্রচলন। এসবই হয়েছিল এবং হচ্ছে বাংলার স্বাভাবিক অগ্রগতিকে ব্যাহত করার জন্য। ইদানিং শুরু হয়েছে আরেক বিকৃতি। বাংলা-ইংরেজি মিলিয়ে এক বিদঘুটে ভাষায় পরিণত করা হচ্ছে বাংলাকে। এটি ভাষার জন্য, আমাদের জন্য অবমাননাকর ও দুর্ভাগ্যজনক।
টু-লেট, রুমমেট আবশ্যক, ফ্যাশন লেডিস টেইলার্স, ড্রিম এন্টারপ্রাইজ এইসব লেখা সাইনবোর্ড কী বার্তা দেয়? অথচ, প্রতিদিনই চোখে পড়ে এসব লেখা সাইনবোর্ড, বিলবোর্ড। অনেকে আবার ইংরেজি শব্দ ইংরেজি হরফে না লিখে বাংলায় লেখেন। বাংলা বানানে দিব্যি চালিয়ে দিচ্ছেন ইংরেজি শব্দমালা। কোথাও কোথাও বাংলা পুরোপুরিই উধাও। এ ধরনের উদ্ভট চর্চা ও মানসিকতা কথাবার্তায়ও। এক সময় একুশে ফেব্রুয়ারির আগে আগে যেসব দোকানে বা প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ডের ভুল বানান থাকত, তারা শঙ্কিত হয়ে পড়ত। বর্তমান বাস্তবতায় সেটা কি আছে?
বর্তমানে বানানের দশা আরো গুরুতর। পাঠ্যবই থেকে শুরু করে নাটক, উপন্যাস, কবিতা, শ্রেণিকক্ষ, সরকারি প্রজ্ঞাপন, বিজ্ঞপ্তির অধিকাংশ ক্ষেত্র, ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিয়মনীতির বালাই নেই। যত্রতত্র ব্যবহার হচ্ছে প্রশ্নবিদ্ধ ও নিম্নমানের অশুদ্ধ ভাষা। বানানরীতির উপেক্ষাসহ সর্বত্র বিতিকিচ্ছিরি অবস্থা। গাড়ির নম্বরফলক, বাড়ির নাম, বিপণিবিতানের নামও লেখা হচ্ছে ইংরেজিতে। চিকিৎসাক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার নেই বললেই চলে। শিক্ষা, ব্যবস্থাপত্র, ডাক্তারি পরীক্ষার রিপোর্ট সবই হয় ইংরেজিতে। মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের পড়ার জন্য কোনো বাংলা বই নেই। চিকিৎসকরা ব্যবস্থাপত্র লিখছেন ইংরেজিতে, ওষুধের নামও লেখা হয় ইংরেজিতে। এমনকি ওষুধ ব্যবহারের নিয়মাবলীও লেখা হয় ইংরেজিতে।
অপরদিকে এফএম রেডিওগুলোতে আরজে নামের বেতারকর্মী বা আঁকাবাঁকা উচ্চারণে বাংলা ভাষার সর্বনাশ করে ছাড়ছেন। কিছু কিছু নাটক বা অনুদানপুষ্ট চলচ্চিত্রেও সেই ভাষারূপ ব্যবহার হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলা ভাষার স্বাভাবিক বিকাশে টুটি চেপে ধরা হচ্ছে। বাংলা-ইংরেজি মিশ্রিত ভাষাকে ‘খিচুড়িভাষা’ নামে সম্বোধন করেন অনেকে; আবার কেউ কেউ বলেন বাংলিশ। খিচুড়ি বা বাংলিশ যে নামেই বলি না কেন, এই ভাষারীতি কিন্তু সংক্রামক ব্যাধির মতো বাজার পেয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অকল্যাণকর ভূমিকা রাখছে বেসরকারি রেডিও-টিভিগুলো। পৃথিবীর প্রত্যেক ভাষারই নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য ও সম্পদ আছে। আবার কিছু দুর্বলতাও আছে। বাংলা ভাষায় এমন কিছু রূপ সৌন্দর্য ও বিশেষত্ব আছে, যা ইংরেজি বা আরবির মতো আন্তর্জাতিক ভাষায়ও নেই। যেমন ‘সহোদর’ শব্দটির কোনো ইংরেজি শব্দ বা প্রতিশব্দ নেই। বাঙালির আপনজনবাচক খালা, মাসি, ফুফু, পিসি, চাচি, কাকি বা চাচা, কাকা-জেঠার জন্য যথাযথ কোনো ইংরেজি শব্দ নেই। ইংরেজরা ‘আঙ্কেল’, ‘আন্টি’ শব্দ দু’টির মাধ্যমে এ সম্পর্কগুলোকে সম্বোধন করে। তাই বাংলা ভাষার প্রাণ-সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। অনেকে বলতে চান, ভাষা সমৃদ্ধ বা শব্দ ভাণ্ডার বাড়াতে অন্য ভাষা থেকে ধার-কর্জ করতে হয়। এমন যুক্তি অগাহ্য করার মতো নয়। আবার বাংলার জন্য তা কি জরুরি? আমাদের ভাষার ভাণ্ডারে শব্দের সমৃদ্ধি একেবারে কম নয়।
চায়নার সাধারণ মানুষ একটি ইংরেজি শব্দও ব্যবহার করে না। অন্য দেশের আবিষ্কার বা প্রযুক্তি ব্যবহার করলেও তারা অন্য ভাষার দারস্থ হয় না। নিজেরা ঠিকই শব্দ আবিষ্কার করে নেয়। প্রযুক্তিকে তারা নিজের ভাষায় গ্রহণ করে এবং তাদের মিডিয়া সেভাবে প্রচার করে। আমরা ‘কম্পিউটার’-এর কোনো পরিভাষা তৈরি করিনি। সেটা নিয়ে ভাবিও না। মনে করি, এটাই সহজ শব্দ, এর বাংলা লাগে না। চায়নায় ‘কম্পিউটার’ শব্দটি পরিচিত নয়। তারা বলে: ‘দিয়ান নাও’। ‘দিয়ান’ অর্থ বিদ্যুৎ, ‘নাও’ অর্থ মাথা। মনিটরটা দেখতে মাথার মতো এবং সেখানে বিদ্যুৎ দিয়ে কাজ হয়Ñ এই ধারণা থেকে চিনারা কম্পিউটারকে বলে ‘দিয়ান নাও’। এ শব্দগুলো চিন দেশে ব্যাপক প্রচার করে জনপ্রিয় করতে ভূমিকা রেখেছে সে দেশের মিডিয়া। আমরা কিন্তু তা করি না। ভাষার ক্ষেত্রেও না, জাতীয় অন্য স্বার্থেও না।
ভাষাবিকৃতির বিরুদ্ধে আমাদের আদালতের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। ২০১২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে এক নির্দেশনায় বাংলা ভাষার পবিত্রতা রক্ষা করার তাগিদ দেয়া হয়েছিল। নির্দেশটিতে বেতার-টিভিতে বিকৃত উচ্চারণে বাংলা বলা এবং ভাষা-ব্যঙ্গ না করতে বলা হয়েছে। মিডিয়া যে একটি শক্তি, আমরা তা অনেক পরে বুঝেছি। যা বুঝেছি সেটাও ইতিবাচক কাজে না লাগিয়ে উল্টো লাগাচ্ছি নেতিবাচক কাজে। যে দেশ ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার সোপান তৈরি করেছে, সেই দেশে ভাষার মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি বাঙালির। একটি বানানরীতি থাকার পরও আমাদের মধ্যে বাংলা লেখার অবস্থা সুখকর নয়। যেন একপ্রকার উদাসীন মনোভাব বিরাজমান। আমরা যেন নিয়ম মানতেই চাই না।
ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর এবং স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে যখন বিশ্বে অজস্র বাংলাভাষী ছড়িয়ে পড়েছে, তখনও আমরা আমাদের বাংলা সাহিত্যের অনুবাদগুলো বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। অথচ, বিশ্বকে বাংলা সাহিত্যের একটি সামগ্রিকতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়া তো কঠিন কাজ নয়। এই ব্যর্থতার দায়ভার আমাদের সবার। ভালো ইংরেজি না পারায় লজ্জা পেলেও আমরা শুদ্ধ বাংলা বলতে না পারায় দুঃখ কখনও করি না। প্রমিত ভাষার সঙ্গে সঙ্গে সাহিত্যের উন্নত ভাষাও বিসর্জন হয়ে যাচ্ছে। এতে দেশের নতুন প্রজন্মের একটি বড় অংশ লেজে গোবরে মার্কা ভাষা শিখে বড় হচ্ছে। আইন করে কি সঠিক শব্দ মানুষের ওপর চাপানো সম্ভব?
আধুনিকতার নামে চলা বাণিজ্যনির্ভর শিক্ষার দাপটে শিক্ষাঙ্গন থেকে বিদায় নিচ্ছে বাংলা। ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলগুলো, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাংলা ভাষা চরমভাবে উপেক্ষিত। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বাংলা নাম। অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার প্রধান মাধ্যম ইংরেজি। বাজার চাহিদা বিবেচনায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ, এমবিএ, কম্পিউটার বিজ্ঞান, টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংসহ কয়েকটি বিষয় পড়ানো হয়। ইংরেজির প্রয়োজনীয়তা থাকলেও বাংলাকে চরম উপেক্ষা করা কাক্সিক্ষত নয়। চাহিদার কথা বলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ইংরেজিকে প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি মাধ্যমে পড়ার কারণে সমস্যায় পড়ছে। তারা ইংরেজি ভালো করে জানে না, বোঝেও না। ক্ষেত্রবিশেষে আনাড়ি হয়ে বেড়ে উঠছে বাংলায়ও। কিন্তু এভাবে আর কতো? এর পরিণতিই বা কোথায় গিয়ে ঠেকবে?
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন