নিবন্ধন ছাড়াই টিকার ঘোষণায় খুলনার টিকা কেন্দ্রগুলো ভিড় বেড়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় টিকাদানের বুথ না বাড়ানোর কারণে অনেককেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টিকা না নিয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে। গতকাল রোববার খুলনার শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়।
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে খুলনার শেখ আবু নাসে বিশেষায়িত হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় সাড়ে ৩শ’ মানুষ প্রথম ডোজের টিকা নেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন। মাত্র দুটি বুথ হওয়ায় দীর্ঘক্ষণ তাদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে। অসুস্থ বয়স্কদেরও লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। বুথে এক সাথে ১০ জন করে টিকা দেয়া হচ্ছে। নারীদের আলাদা লাইনেও প্রচন্ড ভিড়। ১৪৩ নং কক্ষের টিকা কর্মী সালেহা জানান, হঠাৎ ভিড় বেড়ে গেছে, তাই টিকা নিতে আসাদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। একটি ডোজ ভেঙ্গে ১০ জনকে দেয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে টিকা দিতে সময় লাগছে। ১৪৫ নং কক্ষের বাইরে বুষ্টার ডোজের জন্যও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের একজন চিকিৎসক জানান, কোনো প্রকার বাড়তি প্রস্তুতি না নিয়ে ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম টিকা দেয়ার কাজ শেষ হবে এমন ঘোষণায় মানুষের মধ্যে হঠাৎ টিকা নেয়ার প্রবনতা বেড়ে গেছে। অনেকেই যারা এতোদিন টিকা নেননি, তারাও এখন টিকাকেন্দ্রে আসছেন। টিকা কর্মীরা তাই হিমশিম খাচ্ছেন।
টিকা নিতে আসা অবসরপ্রাপ্ত বিআইডিসি কর্মকর্তা সরদার হাসিবুল হক জানান, টিকা না নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন তিনি। প্রায় এক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। যত বেলা যাচ্ছে, লাইন শুধু বাড়ছে। একই রকম কথা জানালেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গোলাম হাফিজুর রহমান। আর্থারাইটিস এর ব্যাথা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে না থেকে তিনি চলে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, মাত্র ৭ থেকে ৮ টি বুথ বাড়ানো হলে এতো ভোগান্তি হত না। হাসপাতালে নার্সের অভাব নেই। কিন্তু কেন বুথ বাড়ানো হয়নি, তা তার বোধগম্য নয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও দেখা গেছে একই দৃশ্য। বুথ কম থাকায় টিকা নিতে আসা মানুষদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মনজুরুল মুরশিদ জানান, টিকা গ্রহীতার সংখ্যা হঠাৎ বেড়েছে। আমরা টিকা দানের বুথের সংখ্যা বাড়ানোর চেষ্টা করছি যাতে সবাই নির্বিঘ্নে টিকা নিতে পারেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন