পটুয়াখালীতে মাদক মামলায় পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালের হিসাব রক্ষক হাসানুজ্জামনকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন মানবতার ফেরিওয়ালা রূপ ধারী একজন সহ তিন ষড়যন্ত্রকারী যুবক। অনুসন্ধান ও তদন্তে ওই তিন যুবকের সংশ্লিষ্টতা পেলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আটককৃতরা হলেন-পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আউটর্সোসিংএ পরিচ্ছন্নকর্মী মোঃ মাসুম গাজী(৩০) মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিন (২৪),এবং মোঃ মেহেদী হাসান শিবলী (৩১),ওরফে মানবতার ফেরীওয়ালা শিবলী। অভিযানকালে ১১০ পিচ ইয়াবা জব্দ করে পুলিশ। সদর থানা পুলিশের এসআই বিপুল হালদার,আনোয়ার হোসেন এবং মোঃ মান্নান এ অভিযান চালায়।
ঘটনার বরাত দিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান বলেন-পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের আউটর্সোসিং পদ্ধতি কর্মরত মোঃ মাসুম গাজী কিছুদিন পূর্বে চাকুরিচ্যুত হয়। এরপর থেকেই হাসপাতালের হিসাব রক্ষক হাসানুজ্জামানকে ফাঁসাতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় মাসুম গং। ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা অনুযায়ী অজ্ঞাত মাদক ব্যবসায়ী সবুজ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকায় ১১০ পিচ ইয়াবা কিনে কৌশলে হাসপাতালের হিসাব রক্ষক হাসানুজ্জামানের অফিস কক্ষে রেখে যায়। পরে ওই চক্রের অপর সহযোগী মেহেদী হাসান শিবলী ও মোঃ আসাদুজ্জামান তুহিনকে অবগত করলে তারা সদর থানা পুলিশকে অবহিত করেন।
চক্রের তথ্যমতে উল্লেখিত পুলিশের তিন এসআই হাসপাতালের হিসাব রক্ষক হাসানুজ্জামানের অফিস কক্ষে তল্লাশি করে প্রিন্টারের টোনার বক্সের ভেতর থেকে ১১০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে হিসাব রক্ষক হাসানকে নিয়ে থানায় আসলে হাসানের প্রতিপক্ষ আটককৃত ব্যক্তিদের চালচলন সন্দেহ হলে পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়। এসময় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি স্বীকার করে তিন যুবক। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর ২২ ফেব্রুয়ারী রাতে মামলা করে পরদিন ২৩ ফেব্রুয়ারী তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।
উল্লেখ্য চক্রের মেহেদি হাসান শিবলি নিজেকে করোনাকালীন সময়ে বিভিন্ন রকম সেবামূলক কাজের সাথে নিজেকে জড়িয়ে মানবতার ফেরিওয়ালা বলে তার একটি চক্রের মাধ্যমে ফেসবুকে প্রচারণা চালায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন