জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ‘দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন’। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটিতে উপ-পরিচালক মো. মশিউর রহমানকে সভাপতি এবং উপ-পরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে ১৮ সদস্যের ‘উপদেষ্টামণ্ডলী’। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিবকে পদাধিকার বলে উপদেষ্টামণ্ডলির সভাপতি রাখা হয়েছে। ১২টি ক্যাটাগরিতে কার্যনির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদককে গতিশীল রাখা এবং কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পারষ্পরিক সহযোগিতা ও কল্যাণের লক্ষ্যে এসোসিয়েশন কাজ করবে-মর্মে উল্লেখ করা হয় সংগঠনের কার্যবিবরণীতে। গতকাল বুধবার সংগঠনের এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দুদক সার্ভিস এসোসিয়েশন (ডিইউএসএস)র কার্যনির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয় শহীদ মিনারে এবং পরে ধানমন্ডিস্থ জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী ২১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটির কর্মীদের মাঝে নানা মেরুকরণ পরিলক্ষিত হয়। এর ফলে কমিশন নিয়োজিত কর্মকর্তাদেরকে নানাভাবে নিগ্রহের শিকার হতে হয়। বিশেষত, সরকারের প্রশাসন ক্যাডার থেকে কমিশনে প্রেষণে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের কর্তৃত্ব কায়েম হয় প্রতিষ্ঠানটির সর্বত্র। অবসরপ্রাপ্ত আমলাদের দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেয়ায় নীতিনির্ধারণীসহ সবকিছু প্রশাসন ক্যাডাররাই নিয়ন্ত্রণ করেন। এর ফলে দীর্ঘদিন থেকে দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তা-কর্মচারি এবং প্রশাসন ক্যাডার থেকে প্রেষণে আসা কর্মকর্তাদের মাঝে একটি স্নায়ু বিরোধ চলে আসছে। কমিশন কর্মকর্তা-কর্মচারিদের পদোন্নতি, পদায়ন, বদলি এবং শাস্তি ইস্যুতে এ বিরোধ তুঙ্গে ওঠে। এ পরিস্থিতিতে অতীতে বিভিন্ন সময় দুদক কর্মকর্তাদের সংগঠিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু পরক্ষণেই প্রশাসন ক্যাডার নিয়ন্ত্রিত এ সংস্থার কর্তাব্যক্তিরা উদ্যোগী দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে সংগঠিত হওয়ার উদ্যোগে ভীতির সঞ্চার করেন। এমন এক পরিস্থিতিতে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সংস্থাটির আলোচিত উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফউদ্দীনকে দুদক চাকরি বিধির ৫৪(২) ধারায় চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনার পর দুদক কর্মীরা ১৮ ফেব্রুয়ারি মানববন্ধন কর্মসূচি এবং স্মারকলিপি প্রদানের মধ্য দিয়ে সংগঠনের জানান দেন। পরবর্তীতে তারা ৫৪(২) বাতিল, শরীফউদ্দিনকে পুনর্বহালসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দুদক সচিব মো. মাহবুব হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন